বিকল্প পথ চালু হলেও মাথাব্যথা সেই যানজট

শুক্রবার বিকেলে পুলিশ এবং পূর্ত দফতরের কর্তাদের উপস্থিতিতে আলিপুর অ্যাভিনিউ এবং হুমায়ুন কবীর সরণি সংযোগকারী সেতু ও লেভেল ক্রসিং খুলে দেওয়া হল। আপাতত ওই রাস্তায় ডায়মন্ড হারবার রোডের দিক থেকে আসা ছোট গাড়ি চলবে। বাস বা মিনিবাসকে এখনই ওই রাস্তায় ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৮ ০২:০০
Share:

বেইলি ব্রিজ মাঝেরহাটে। —ফাইল চিত্র

মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার ৩৮ দিনের মাথায় চালু হল বিকল্প রাস্তা।

Advertisement

শুক্রবার বিকেলে পুলিশ এবং পূর্ত দফতরের কর্তাদের উপস্থিতিতে আলিপুর অ্যাভিনিউ এবং হুমায়ুন কবীর সরণি সংযোগকারী সেতু ও লেভেল ক্রসিং খুলে দেওয়া হল। আপাতত ওই রাস্তায় ডায়মন্ড হারবার রোডের দিক থেকে আসা ছোট গাড়ি চলবে। বাস বা মিনিবাসকে এখনই ওই রাস্তায় ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না।

তবে নতুন রাস্তা চালু হলেও পুজোর সময়ে যানজটের সমস্যা কতটা এড়ানো যাবে, তা নিয়ে এ দিনই সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ, রাস্তা খুলে দেওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই বেহালার দিকে লেভেল ক্রসিংয়ের মুখে শয়ে শয়ে গাড়ির ভিড় জমে যায়। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশের আধিকারিকেরা বাধ্য হয়ে হুমায়ুন কবীর সরণির দিক থেকে আসা অনেক গাড়ি দুর্গাপুর সেতুর দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন। ফলে নিউ আলিপুর পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন দুর্গাপুর সেতুর সামনে যে চৌমাথা রয়েছে, সেখানে বেহালার দিক থেকে আসা গাড়ির ভিড় কমেনি। যার পরিণতিতে একই ভাবে চেতলার দিক থেকে

Advertisement

দুর্গাপুর সেতুতে ওঠার পথেও গাড়ির জট তৈরি হয়েছে।

দক্ষিণ কলকাতা থেকে বেহালামুখী যানবাহনের যাতায়াত মসৃণ করতে নিউ আলিপুর পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন চৌমাথায় গাড়ির চাপ কমানো খুব জরুরি। পুজোর কয়েক দিন নিউ আলিপুরে দর্শনার্থীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে দুর্গাপুর সেতুর ফুটপাত বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। যাতে কেউই ঘেরা অংশ ছেড়ে রাস্তায় নামতে না পারেন।

মাঝেরহাট সেতু ভাঙার পর থেকে টালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের উপরে গাড়ির চাপ বেড়ে গিয়েছে। সকাল থেকেই ওই রাস্তায় গাড়ির চাপে কার্যত হাঁসফাঁস অবস্থা হচ্ছে। পুজোর সময়ে ওই চাপ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশ আধিকারিকদের।

নিউ আলিপুরে লেভেল ক্রসিং চালু হওয়ার পরে যানজটের চেহারা কী হতে পারে, তা পুলিশের কাছেও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তাই পুলিশও প্রাথমিক ভাবে লেভেল ক্রসিং এবং জোড়া বেইলি ব্রিজকে বেহালার দিক থেকে আসা একমুখী যান চলাচলের জন্য ব্যবহার করে পরিস্থিতি বুঝে নিতে চায়। তার পরে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

নতুন রাস্তা চালু হওয়ার পরে আলিপুর অ্যাভিনিউয়ের দিকেও সাময়িক যানজট দেখা দেয়। এ দিন সকালের দিকে রাস্তা খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও নবান্ন থেকে সবুজ সঙ্কেত পেতে দুপুর গড়িয়ে যায়। বেলা ১১টা নাগাদ পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এসে নতুন লেভেল ক্রসিং এবং রাস্তা পরিদর্শন করে যান।

তার আগেই অবশ্য গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের কর্তাদের উপস্থিতিতে ইস্পাতের নতুন সেতুর উপরে গাড়ি তুলে পরীক্ষা করেন পূর্ত দফতরের কর্তারা। বড় গাড়ির প্রবেশ আটকাতে সেতুর দু’পাশে বসানো হয় হাইট বার। প্রায় ২৫ মিটার লম্বা এবং ৪.২ মিটার চওড়া সেতুটির উপরে গাড়ির গতিবেগ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ থাকছে। সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালানো যাবে। লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের গতিও বেঁধে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ ১০ কিলোমিটারে। শিয়ালদহ-বজবজ শাখায় প্রায় ২০টি ট্রেন আজ, শনিবার থেকে বাতিল করা হচ্ছে।

এ দিন বিকেল ৩টের পরে পুলিশ এবং পূর্ত দফতরের কর্তারা রাস্তা ও লেভেল ক্রসিং পরিদর্শনে আসেন। ছিলেন পূর্তসচিব অর্ণব রায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তাঁদের উপস্থিতিতে কলকাতা পুলিশের একটি গাড়ি প্রথম লেভেল ক্রসিং এবং সেতু পার হয়। তার পরে অন্যান্য গাড়ির জন্য রাস্তা খুলে দেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement