হেফাজতে থাকা বন্দির মৃত্যুর ঘটনায় তিন অফিসার-সহ ছ’জন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা শুরু করল পুলিশই। তাঁরা সকলেই লালবাজারের ছিনতাই দমন শাখার অফিসার-কর্মী। এর পাশাপাশি, ষড়যন্ত্র, খুনের চেষ্টা এবং প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগও আনা হয়েছে।
গত শনিবার রাতে এসএসকেএমে মারা যান বিচারাধীন বন্দি ফরদিন খান (২৪)। তাঁর বাড়ি একবালপুরে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। লালবাজারে পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন ফরদিনকে বেধড়ক পেটানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
শুক্রবার ফরদিনকে আদালত জেল হেফাজত দেয়। কিন্তু কোর্ট লক-আপেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পিজি-তে নিয়ে যাওয়া হলে শনিবার মৃত্যু হয় তাঁর। সোমবার ফরদিনের মা ইমতিয়াজ বেগম ও বন্ধু রাজীবকুমার সিংহ ভবানীপুর থানায় তদন্তকারী অফিসারদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেন। অভিযোগ, পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন বেধড়ক মারে মৃত্যু হয় তাঁর।
সেই ঘটনাতেই পুলিশের তরফে পুলিশেরই বিরুদ্ধে ভবানীপুর থানায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। যেহেতু ফরদিনকে প্রাথমিক ভাবে লালবাজারের ছিনতাই দমন শাখার হেফাজতে রাখা হয়েছিল, তাই সেই শাখার ওসি-সহ তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে ওই মামলা রুজু হয়েছে। এ ছাড়া, ব্যাঙ্কশাল আদালতের কোর্ট অফিসার, এসএসকেএম হাসপাতালের আউটপোস্টের ডিউটি অফিসার এবং শুক্রবার ফরদিনকে হাসপাতালে ভর্তির সময়ে সেই আউটপোস্টে কর্তব্যরত অন্য পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে এই খুনের মামলা শুরু হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
একই অভিযোগ আনা হয়েছে ফরদিনের প্রতিবেশী শাহরুখের বিরুদ্ধেও। ফরদিনের আত্মীয়দের অভিযোগ, শাহরুখের কথা মতোই পুলিশ ফরদিনকে তুলে নিয়ে যায়। আত্মীয়দের দাবি, একবালপুরে শাহরুখ যে অসামাজিক কাজে লিপ্ত ছিল, তার প্রতিবাদ করেছিলেন ফরদিন। পুলিশের একাংশের সঙ্গে ওঠা-বসা থাকায় শাহরুখ সেই সুযোগ নিয়ে ফরদিনকে গ্রেফতার করিয়ে দেন বলে অভিযোগ।