প্রতীকী ছবি।
চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে রোগী-মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে হামেশাই। এ বার হাসপাতালের বহির্বিভাগের লাইনে দাঁড়িয়ে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ এন্ডোক্রিনোলজির বহির্বিভাগে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভাঙড়ের বাসিন্দা হাফিজুল রহমান মোল্লা (৩৮)। হঠাৎই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে হাফিজুলের। এর পরেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন রোগীর পরিজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের আউট়ডোর চারতলায়। কিন্তু লিফট না থাকায় রোগীদের সিঁড়ি ব্যবহার করতে হয়। রোগীরা অপেক্ষাও করেন সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে। এ দিনও রোগীর ভিড় ঠেলে অসুস্থ হাফিজুলকে চারতলা থেকে নামাতেই দেরি হয়ে গিয়েছিল। তাই চিকিৎসার বিশেষ সুযোগ পাওয়া যায়নি।
হাফিজুলের পরিবার সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে তিনি এন আর এসে যান। সে সময়ে ডাক্তারেরা জানিয়েছিলেন, তাঁর গলব্লাডারে পাথর রয়েছে। দ্রুত অস্ত্রোপচার করা প্রয়োজন। পাশাপাশি, তাঁর রক্তে শর্করার পরিমাণও ছিল বেশি। সে কারণে চিকিৎসকেরা হাফিজুলকে অস্ত্রোপচারের আগে এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগে গিয়ে দেখানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। সে কারণেই এ দিন তিনি ফের এন আর এসে যান।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য লিফট না থাকার জেরে রোগী-মৃত্যুর অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁরা জানিয়েছেন, ওই রোগীর মৃত্যুর কারণ ‘সাডেন কার্ডিয়াক অ্যাটাক’। চিকিৎসকদের বক্তব্য, রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে অনেক সময়ে হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা বোঝা যায় না। পাশাপাশি, এমন রোগীর ক্ষেত্রে আচমকা হৃদ্যন্ত্র বিকল হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। হাফিজুলের ক্ষেত্রেও সে রকম হয়েছিল বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা।
লিফট না থাকায় রোগী-ভোগান্তির কথা মেনে নিয়েছেন হাসপাতালের আর এক কর্তা। তাঁর কথায়, ‘‘রোগীরা সিঁড়িতে অপেক্ষা করায় সমস্যা হচ্ছে। স্বাস্থ্য ভবনে লিফট তৈরির অনুমতি চেয়ে আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও অনুমোদন পাওয়া যায়নি।’’