তোলা চেয়ে হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূলের নেত্রী

পুলিশ সূত্রের খবর, নিউ টাউনের হাতিয়াড়ার বাসিন্দা, পেশায় প্রোমোটার সৈকত দাস বাগুইআটির দেশবন্ধুনগরে একটি বহুতল নির্মাণ করছেন। গত শুক্রবার নিউ টাউন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী অনামিকা সাহা তোলার টাকা না পেয়ে ওই নির্মীয়মাণ বহুতলের ফ্ল্যাটে তালা ঝুলিয়ে দেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৩৬
Share:

—প্রতিকী চিত্র।

অটোয় চড়ে এক থানা এলাকা থেকে আর এক থানা এলাকায় গিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ উঠল নিউ টাউনের এক তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, নিউ টাউনের হাতিয়াড়ার বাসিন্দা, পেশায় প্রোমোটার সৈকত দাস বাগুইআটির দেশবন্ধুনগরে একটি বহুতল নির্মাণ করছেন। গত শুক্রবার নিউ টাউন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী অনামিকা সাহা তোলার টাকা না পেয়ে ওই নির্মীয়মাণ বহুতলের ফ্ল্যাটে তালা ঝুলিয়ে দেন বলে অভিযোগ। বুধবার অভিযোগকারী প্রোমোটার জানান, সম্প্রতি তিন লক্ষ টাকা তোলা চেয়ে অনামিকা চাপ দিচ্ছিলেন। গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ দু’টি অটোয় দলবল নিয়ে দেশবন্ধুনগরে হাজির হয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই টাকা দাবি করেন অনামিকা। ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর দলবল ছাড়াও স্বামী বাবু সাহা ও নেপাল ঘোষ নামে এক ব্যক্তি ছিলেন বলে অভিযোগ। সৈকতের কথায়, ‘‘টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আমাকে মারধর করে অনামিকা নেপালকে বলেন, ফ্ল্যাটে তালা মেরে দিতে।’’ পরদিনই বাগুইআটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সৈকত।

অভিযোগ উড়িয়ে অনামিকা দাবি করেন, সৈকতের কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা পাবেন নেপাল। তার লিখিত চুক্তি রয়েছে। সেই টাকা সৈকতের কাছে চাওয়ায় তোলাবাজির মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

Advertisement

সৈকত বলেন, ‘‘নেপাল যে আমার কাছে টাকা পাবেন, তা অস্বীকার করছি না। কিন্তু অনামিকা ওই টাকা চাইতে আসেননি। হাতিয়াড়ার সুভাষপল্লি এলাকায় একটি প্রকল্পের জন্য তোলা চেয়ে চাপ দিচ্ছিলেন। তা ছাড়া, নেপালের টাকার জন্য অনামিকা কেন দলবল নিয়ে বাগুইআটি আসবেন?’’

গত শুক্রবার তিনি বাগুইআটিতেই যাননি বলে দাবি করে অনামিকা বলেন, ‘‘দলের কাজে ক’বার ওই এলাকায় গিয়েছি, হাতে গুনে বলে দিতে পারি। নেপাল আমার ভাইয়ের মতো। তা ছাড়া, আমার স্বামীর সঙ্গে নেপালের নির্মাণ ব্যবসাও রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। দোষ না করেও কী করে দোষী হলাম, তা জানতে আমিও প্রশাসনের দ্বারস্থ হব।’’ অনামিকা বাগুইআটি যাওয়ার কথা অস্বীকার করলেও নেপাল বলেন, ‘‘আমিই দিদিকে বলেছিলাম, চলো না, বাগুইআটি গিয়ে যদি টাকা পাওয়া যায়। অটো চালিয়ে আমিই দিদিকে নিয়ে গিয়েছিলাম।’’

এ দিন সৈকত বলেন, ‘‘অভিযোগ দায়ের করার পরে পাঁচ দিন কেটে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে ধরা হয়নি। খুব আতঙ্কে আছি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগ হয়েছে। ঠিক কী ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে। অভিযোগের বাস্তবতা থাকলে নিশ্চয়ই পদক্ষেপ করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement