—ফাইল চিত্র
এক বেসরকারি সংস্থায় সামান্য বেতনে পিওনের কাজ করতেন তিনি। অবসরের পরে কোনও রকমে সংসার চলে। তারই মধ্যে বৃদ্ধ বিমান দাসের স্ত্রীর কিডনি প্রায় বিকল। ভেলোরের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এ বার টানা চিকিৎসা দরকার। ফলে প্রয়োজন অর্থেরও। কিন্তু, অর্থাভাবে সেই চিকিৎসাও করাতে পারছিলেন দক্ষিণ দমদমের বেদিয়াপাড়ার বাসিন্দা বিমানবাবু। তাঁর এই অবস্থার কথা জানতে পেরে বৃহস্পতিবার হাতে হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দিলেন পুর কর্তৃপক্ষ।
বিমানবাবু বলেন, “আমার স্ত্রীর দুটো কিডনিই প্রায় বিকল হয়ে পড়েছে। ভেলোরে চিকিৎসায় অনেক খরচ। এ দিকে আমার অর্থ প্রায় নেই বললেই চলে। গত মাসের ২১ তারিখে পাড়ায় দুয়ারে সরকারের শিবির হয়েছিল। সেখানে স্বাস্থ্যসাথীর ফর্ম পূরণ করে জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই কার্ড কবে পাব জানি না। এ দিকে অবিলম্বে ভেলোরে যাওয়া দরকার। এলাকার ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরকে বিষয়টা জানাতে সুরাহা হল।”
দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান বলেন, “বিমানবাবুর অসুবিধার কথা জানতে পেরে গাড়ি পাঠিয়ে ওঁকে বাড়ি থেকে একটি শিবিরে আনা হয়। সেখানে ছবি তুলে, অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ শেষ করে সঙ্গে সঙ্গে কার্ড দিয়ে দেওয়া হয়। এতে ওঁর স্ত্রীর চিকিৎসার সুরাহা হবে। এখানেই এই প্রকল্পের সাফল্য।” এমন ঘটনায় খুশি বিমানবাবুও। তিনি জানান, দু’-এক দিনের মধ্যেই ভেলোর রওনা হবেন তিনি।