উৎসাহ: হয়নি উদ্বোধন, মণ্ডপ ঢাকা রয়েছে ত্রিপলে। তার ফাঁক দিয়েই চলছে ঠাকুর দেখা। শনিবার, হরিদেবপুরে। নিজস্ব চিত্র
তৃতীয়াতেই ভিড়ের ঢাকে কাঠি!
শাস্ত্র মতে পুজো আসতে বাকি আরও তিন দিন। কিন্তু তার আগেই মহানগরের একাধিক মণ্ডপ খুলে দেওয়া হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। মহালয়ার আগে থেকেই শহরের কয়েকটি বড় পুজোর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই শনিবাসরীয় তৃতীয়ার সন্ধ্যাতেই শহরের বড় বড় কিছু মণ্ডপে ভিড় ছিল বেশ ভালই। বেশ কয়েকটি মণ্ডপ তৈরি হয়ে গেলেও এ দিন ঢেকে রাখা হয়েছিল দর্শনার্থীদের জন্য। কিন্তু তাতে আটকে রাখা যায়নি উৎসবপ্রেমী শহরবাসীকে। ত্রিপলের ফাঁক দিয়েই অনেককে ঠাকুর দেখতে দেখা গেল এ দিন। তবে শহরজুড়ে যানজটের যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাননি তাঁরাও।
যেমন বরাহনগরের বাসিন্দা বছর তিরিশের শ্রাবণী ঘোষ। অফিসের ছুটি শুরু হতেই পুজোর শেষবেলার কেনাকাটা করতে হাতিবাগানে যাবেন বলে বিকেল পাঁচটা নাগাদ টবিন রোড থেকে বাসে উঠলেন। কিন্তু হাতিবাগান পৌঁছনোর পরে কেনাকাটার আর বিশেষ ইচ্ছে থাকল না। কারণ, আধ ঘণ্টার রাস্তা পৌঁছতে এ দিন তার সময় লেগেছে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা।
লালবাজার জানিয়েছে, পুজোর ভিড়ের সঙ্গে এ দিন ছিল কেনাকাটার ভিড়ও। যার জেরে ফুটপাথ এবং দোকান থেকে ভিড় এসে পৌঁছেছে রাস্তায়। সেই রাস্তার দু’ধার জুড়ে বাঁশের ব্যারিকেড। রাস্তার বড় একটা অংশ গিয়েছে আটকে। ফলে রাস্তায় গাড়ি শনিবার কম থাকলেও যানজটে ভুগতে হয়েছে। পুলিশ জানায়, এ দিন নিউ মার্কেট, হাতিবাগান এবং গড়িয়াহাট এলাকায় রাস্তার গাড়ির গতি বিকেল থেকে ছিল স্লথ। সন্ধ্যার পরে বিজন সেতুতে গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ায় ভুগতে হয়েছে কসবায় ঠাকুর দেখতে যাওয়া দর্শনার্থী থেকে সাধারণ মানুষকে। তবে পুলিশের দাবি, বিধান সরণি ছাড়া অন্যত্র গাড়ির গতি ধীর থাকলেও রুদ্ধ হয়নি। আজ, চতুর্থী থেকে পুজোর ভিড় সামলাতে নামবে বিরাট পুলিশ বাহিনী।
কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছু রাস্তায় এ দিন যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছিল। হাতিবাগানের ভিড় সামলাতে বিধান সরণি থেকে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মো়ড়ের রাস্তা বন্ধ ছিল। বন্ধ ছিল গিরিশ পার্ক থেকে বাগবাজার স্ট্রিটের রাস্তা ও কেভিভি অ্যাভিনিউ থেকে রবীন্দ্র সরণি। দুপুর থেকেই মহাত্মা গাঁধী রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে যানজট থাকলেও রাতে তা স্বাভাবিক হয়ে যায়। ট্র্যাফিক বিভাগের এক কর্তা অবশ্য দাবি করেন, ‘‘কেনাকাটা এবং পুজো দেখার ভিড়ের জন্য কিছুটা যানজট হলেও তা সামলে দেওয়া গিয়েছে। তাই জওহরলাল নেহেরু রোড দিয়ে ধর্মতলাগামী গাড়ির বেশি ক্ষণ আটকে থাকতে হয়নি পথে।’’