দুর্গাপুজো শেষ, তবু রাস্তার মুখ ঢেকে আছে বিজ্ঞাপনে

বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছরভর রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সব ধরনের অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে শহর ছেয়ে যায়। তবে পুজোর আগে সে সবের সংখ্যা বেড়ে যায়। এমনকি উত্তর, দক্ষিণ কলকাতা, হাওড়ার পুজোর বিজ্ঞাপনও স্থান পায় সে সবের মধ্যে। গত কয়েক বছর ধরে দেখা গিয়েছে, পুজো কেটে গেলেও সে সব না খোলার প্রবণতাই প্রবল।

Advertisement

কাজল গুপ্ত

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৮ ০২:২৮
Share:

এ ভাবেই আড়ালে চেনা পথ। সল্টলেকে। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

দুর্গাপুজো শেষে কেটে গিয়েছে কয়েকটি দিন। কিন্তু এখনও হোর্ডিং রয়েছে বিধাননগর পুর এলাকার বেশ কিছু জায়গায়, এমনটাই অভিযোগ। পুরসভার দাবি, ইতিমধ্যেই হোর্ডিং খোলা শুরু হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই হোর্ডিং ও ব্যানার সরানো হবে।

Advertisement

বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছরভর রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সব ধরনের অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে শহর ছেয়ে যায়। তবে পুজোর আগে সে সবের সংখ্যা বেড়ে যায়। এমনকি উত্তর, দক্ষিণ কলকাতা, হাওড়ার পুজোর বিজ্ঞাপনও স্থান পায় সে সবের মধ্যে। গত কয়েক বছর ধরে দেখা গিয়েছে, পুজো কেটে গেলেও সে সব না খোলার প্রবণতাই প্রবল।

সল্টলেকের বাসিন্দা নির্মলেন্দু বসুর কথায়, ই এম বাইপাস বরাবর দত্তাবাদ থেকে সুকান্তনগর এলাকা, সল্টলেকের প্রবেশপথ থেকে শুরু করে বিভিন্ন আইল্যান্ড সংলগ্ন এলাকা যেমন, পিএনবি মোড়, করুণাময়ী মোড় ইত্যাদি হোর্ডিং, ব্যানারে ভরে গিয়েছে। অথচ পুরসভা ওই আইল্যান্ড-সহ অনেক জায়গাতেই দৃশ্যদূষণ রোধে সৌন্দর্যায়ন করেছে। মাঝে বিধাননগর পুরসভা হোর্ডিং-ব্যানার সরালেও পুজোর আগে থেকে সেই এক অবস্থা।

Advertisement

এক পুর আধিকারিক বলেন, ‘‘পুজো উদ্যোক্তারা প্রচারের জন্য হোর্ডিং, ব্যানার রাস্তায় লাগান। অথচ সে সব খুলতে গিয়ে পুরসভার টাকা খরচ হয়। দৃশ্যদূষণ রোধে পুজো উদ্যোক্তাদেরও প্রশাসনকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ভাবতে হবে।’’ সল্টলেকের এ-কে ব্লকের এক পুজো উদ্যোক্তা প্রদীপ বণিকের কথায়, ‘‘আমরা পুজো কমিটির তরফে হোর্ডিং, ব্যানার সরিয়েছি।’’ তাঁর দাবি, সময় মতো হোর্ডিং-ব্যানার সরানোর কাজটা উদ্যোক্তাদেরই করা প্রয়োজন।

এ দিকে, অন্য এক পুজো উদ্যোক্তার কথায়, বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে হোর্ডিং লাগানো হয়। পুজোর পরে তাদেরই সে সব খোলার কথা।

পুজো উদ্যোক্তারা এমন দাবি করলেও বাস্তবের ছবি ভিন্ন। হাতেগোনা কয়েকটি পুজো কমিটি এগিয়ে এলেও অধিকাংশ জায়গায় ছবিটা যে কে সেই। স্থানীয় এক কাউন্সিলরের কথায়, দৃশ্যদূষণ রোধে বর্তমান বোর্ড যথেষ্ট তৎপর। পুজোর ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না।

পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবাশিস জানা বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই হোর্ডিং, ব্যানার খোলা শুরু হয়েছে। এ জন্য উদ্যোক্তাদের উপরে আর্থিক দায় চাপানোর নীতি এখনই পুরসভার নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement