চিকিৎসক ভুয়ো জেনে নড়ে বসল প্রশাসন

তবে এ দিনের সংবাদপত্রে তাঁকে নিয়ে খবর বেরোতে দেখে নড়ে বসেছে ব্যারাকপুর মহকুমা প্রশাসন। ওই চিকিৎসকের বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে তারা। ব্যারাকপুর মহকুমার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপূর্ব দাসও এই বিষয়ে তৎপর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৮ ০২:৩৪
Share:

ভুয়ো ডিগ্রির ভরসায় শিশুদের চিকিৎসা করা ঘোলা বোর্ডঘরের ‘ডাক্তারবাবু’ স্বপনকুমার বিশ্বাস বৃহস্পতিবার সকালেও চেম্বার করেছেন। এ দিন দুপুরে সেই চেম্বারে রোগী আসতে-যেতেও দেখা গিয়েছে।

Advertisement

তবে এ দিনের সংবাদপত্রে তাঁকে নিয়ে খবর বেরোতে দেখে নড়ে বসেছে ব্যারাকপুর মহকুমা প্রশাসন। ওই চিকিৎসকের বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে তারা। ব্যারাকপুর মহকুমার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপূর্ব দাসও এই বিষয়ে তৎপর।

এ দিকে সকালে চেম্বার করলেও সন্ধ্যায় আর দেখা যায়নি স্বপনকুমারকে। ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘পারিবারিক কাজে বারাসতে আছি। তাই চেম্বারে বসা হয়নি।’’ কাল কি তাঁকে চেম্বারে পাওয়া যাবে? বলেন, ‘‘ইচ্ছা আছে।’’ অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন শুনে তিনি বলেন, ‘‘ফোন পাইনি।’’ জানতে চান, ‘‘আমায় কি ব্যারাকপুরের অফিসে
দেখা করতে হবে?’’ উত্তর না পেয়ে আর কথা এগোতে চাননি স্বপনকুমার।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, রোজের মতো এ দিনও দুপুর ১২টার কিছু পরে চেম্বারে বসে স্বপনকুমার। কয়েক জন রোগীও আসেন। সেই রোগীদের এক জন জানান, ‘ডাক্তারবাবু’র ডিগ্রির বিষয়ে কিছুই জানা নেই তাঁদের। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সাধারণ মানুষ। শুনেছি, তিনি বাচ্চাদের ডাক্তার। তাই মেয়েকে দেখাতে আসি।’’

ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক পীযূষ গোস্বামী জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রাঘবেশ মজুমদারকে বিষয়টি জানান। মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘ভুয়ো চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্যের পাশাপাশি জেলাতেও কমিটি আছে। বিষয়টি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছি।’’ খোঁজখবর শুরু করেছেন ব্যারাকপুরের অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপূর্ব দাসও। তিনি বলেন, ‘‘ওঁর ফোন বেজে গিয়েছে। শুক্রবার ওঁর চেম্বারে গিয়ে তদন্ত শুরু করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement