জলে বাস করে পুর-কর দিচ্ছেন বাসিন্দারা

পুরসভার অ্যাসেসমেন্ট নথি অনুযায়ী, আগে সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় একটি বাড়ি, জমি ও পুকুর ছিল। ২০১২ সালে পুরসভার প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট (পিএমইউ) দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল ওই জমির ক্ষেত্রে ‘পুকুর’ শব্দটি বাদ দিতে বলেন।

Advertisement

দেবাশিস ঘড়াই

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৮ ০২:৩৬
Share:

ছিল পুকুর। বাস্তুজমিতে তা পরিবর্তিত হয়েছে বহু দিন আগেই। সেখানে বাড়ির নকশার অনুমোদনও দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। তার উপরে বাড়ি উঠেছে, সে-ও পেরিয়েছে অনেক দিন। কিন্তু পুরসভার নথিতে তা এখনও পুকুর হিসেবেই রয়ে গিয়েছে। অথচ সেই ‘পুকুরে’ বাস করে বাসিন্দারা পুর কর দিয়ে চলেছেন। এমন তথ্য-বিভ্রান্তিতে নড়ে বসেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি বিষয়টি নজরে আসায় রেকর্ড বুক থেকে ‘পুকুর’ শব্দটি বাদ দিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, কসবার রাজকৃষ্ণ চ্যাটার্জি রোডের একটি বাড়িকে কেন্দ্র করে এই বিভ্রান্তি সামনে আসে। পুরসভার অ্যাসেসমেন্ট নথি অনুযায়ী, আগে সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় একটি বাড়ি, জমি ও পুকুর ছিল। ২০১২ সালে পুরসভার প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট (পিএমইউ) দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল ওই জমির ক্ষেত্রে ‘পুকুর’ শব্দটি বাদ দিতে বলেন। কারণ মৎস্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ওই জমিটিকে পুকুর থেকে বাস্তুজমিতে পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ২০১১ সালে।

পিএমইউ দফতরের তরফে ওই নির্দেশটি দেওয়া হলেও পুর কমিশনার এ নিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি করেননি। অথচ ওই নির্দেশিকা ছাড়া পুর রেকর্ড থেকে কোনও তথ্যের পরিবর্তন করা যায় না। তাই এ ক্ষেত্রেও তা হয়নি। এ দিকে ওই জমিতে আইন মেনে বাড়ি উঠেছে। কারণ, বাড়ির নকশার অনুমোদন দিয়েছে পুরসভা। তা সত্ত্বেও পুর নথিতে তা পুকুর হিসেবেই উল্লেখিত। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, পুকুর ও জমির সম্পত্তিকরের হার আলাদা হওয়ায় তা সঠিক ভাবে নির্ধারণ করতেও সমস্যা হচ্ছিল। ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়।

Advertisement

বিষয়টি নজরে আসতেই ওই জমিতে পুকুর আছে কি না, ফের খোঁজ শুরু করে পুরসভা। পিএমইউ দফতরের কাছে আবারও ওই জমি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। দফতর জানিয়ে দেয়, ওই জমিতে কোনও পুকুর নেই। তথ্য হিসেবে সংশ্লিষ্ট জমি সম্পর্কে পিএমইউ দফতর মৎস্য দফতরের অতীতের নির্দেশিকারও উল্লেখ করে। তার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সংশ্লিষ্ট ঠিকানা থেকে ‘পুকুর’ শব্দটি বাদ দেওয়া হবে। এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘পুরসভার রেকর্ড বইতে তথ্যের একটা বিভ্রান্তি ছিল। নজরে আসতেই তা দূর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement