ফাইল চিত্র।
অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায় যে নিয়মিত বেপরোয়া গাড়ি চালাতেন, তার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।
মাস নয়েক ধরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি চালাচ্ছেন বিক্রম। তার মধ্যে অক্টোবর এবং নভেম্বরে পর পর দু’বার বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য পুলিশের কাছে জরিমানা দিয়েছেন তিনি। ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্তও ওই গাড়ির বিরুদ্ধে একাধিক ট্রাফিক আইন ভাঙার অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
২৮ এপ্রিল রাত সাড়ে দশটা নাগাদ শ্যুটিং শেষ করে ফেরার পথে পার্ক স্ট্রিটের একটি রেস্তোরাঁর সামনে থেকে সোনিকাকে গাড়িতে তোলেন বিক্রম। তার পরে তাঁরা শেক্সপিয়র সরণির একটি পানশালায় যান। সেখানে তাঁরা মদ্যপান করেন। তারপরে যান ভবানীপুরের একটি ক্লাবে। সেখানে আরও কয়েক জন বন্ধু ছিলেন। ছিলেন অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ও। ওই পার্টি থেকে রাত আড়াইটে নাগাদ বিক্রম ও সোনিকা বেরিয়ে পড়েন। সোজা চলে যান কসবায়। সেখানে একটি নিরিবিলি জায়গায় গাড়ি থামিয়ে দু’জনে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দেন। তার পর আবার বেরিয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: থানায় দাঁড়িয়েই সপা-টে চড় পুলিশ অফিসারকে!
কিন্তু কসবা থেকে লেক মার্কেটে দুর্ঘটনা ঘটা পর্যন্ত কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন বিক্রমেরা? গাড়িতে সোনিকার সঙ্গে তাঁর কি বচসা
বা মনোমালিন্য হয়েছিল? এ সব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে ধোঁয়াশায় তদন্তকারীরা। পুলিশের কাছে বিক্রম দাবি করেছেন, গাড়ির গতি বেপরোয়া ছিল না। পুলিশ কর্তাদের পাল্টা দাবি, সিট বেল্ট না পরে বেপরোয়া গতিতেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন বিক্রম।
ধন্দ রয়েছে বিক্রম এবং সোনিকার মোবাইল ফোন নিয়েও। বিক্রমের মোবাইল ফোনে ঘটনার প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে দু’টি ইনকামিং এবং একটি আউটগোয়িং কল হয়েছিল। সেগুলি কে বা কারা করেছিলেন, কাকেই বা ফোন করা হয়েছিল— জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।