খুন হওয়া ক্যাব-চালক ইমরান খান। —নিজস্ব চিত্র।
ক্যাব-চালক ইমরান খান খুনের ঘটনায় পরিচতরাই জড়িত। সন্দেহের তালিকায় রয়েছে তাঁর বেশ কয়েকজন বন্ধুও। টাকাপয়সা নিয়ে ঝামেলার কারণে তাঁকে খুন করা হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ।
তদন্তকারীদের অনুমান,খুনের আগে ইমরানের গাড়িতে অন্তত দু’জন ছিলেন। কোনও কারণে ঝামেলায় জড়িয়ে প়ড়েন ইমরান। তার পরেই গাড়িতে থাকা ভারী কোনও বস্তু দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে বারবার মাথায় আঘাত করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে।
বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের পাশে গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি ঝোপের মধ্যে। সোমবারই ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থলে যায়। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ঝোপের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। কেন তাঁকে খুন করা হল? এ বিষয়ে খোঁজ করতে গিয়ে পুলিশ একটি সূত্রে থেকে জানতে পেরেছে, সিআইটি রোডের বাসিন্দা ইমরান পাড়ার একটি কো-অপারেটিভের সদস্য। সেখানে টাকাপয়সা নিয়ে সম্প্রতি তিনিএকটি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। এই ঘটনার সঙ্গে খুনের কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: বর্ষশুরুর সকালেই এন্টালিতে উদ্ধার যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ
সোমবার সকালে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের কাছে আড়ুপোতায় নির্জন এলাকায় একটি অ্যাপ ক্যাব দরজা খোলা অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। কিছুটা দূরেই দেখা যায়, ঝোপের মধ্যে পড়ে রয়েছে এক যুবকের দেহ। তদন্তে নামে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে যায় কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগেরআধিকারিকরাও। গলায় সোনার চেন, টাকাপয়সা খোয়া না যাওয়ায়, ইমরানকে আক্রোশের বসেই খুন করা হয়েছে বলে অনুমান করছেন গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে জেরা করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ইএম বাইপাস থেকে বাসন্তী হাইওয়ের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নিউ ইয়ার্স ইভে অ্যাটম বম্ব ফেলার হুমকি, পরে ক্ষমা চাইল মার্কিন সেনা