—প্রতীকী চিত্র।
সাতসকালে হাইট বার ভেঙে বিপত্তি। শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ই এম বাইপাসে। একটি লরি উল্টোডাঙা উড়ালপুলে ওঠার মুখে সজোরে ওই হাইট বারে ধাক্কা মারে। কেউ হতাহত না হলেও এর জেরে লেক টাউনের দিকে যান চলাচল বেশ কিছু ক্ষণ বন্ধ থাকে। কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, জলের পাইপ বোঝাই ওই লরিটি বাইপাস ধরে উল্টোডাঙা উড়ালপুলের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময়ে উড়ালপুলে ওঠার মুখে লরিটিকে আটকানোর চেষ্টা করেন কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরা। কিন্তু সে দিকে খেয়াল না করে লরিটি উড়ালপুলে ওঠার চেষ্টা করে। সজোরে সেটি ধাক্কা মারে উড়ালপুলের হাইট বারে। হাইট বারটি ভেঙে পড়ে। লরির খানিকটা অংশও এর জেরে আটকে যায়। ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরা এর পরে লরির চালককে আটক করে থানায় নিয়ে যান। ডাক পড়ে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর। তারাই এর পরে লরির উপরে পড়া হাইট বারটি কেটে সেটি সরিয়ে নিয়ে যায়। পুলিশ উল্টোডাঙার দিক থেকে গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে লেক টাউন, ভিআইপি রোডের দিকে নিয়ে যেতে শুরু করে। সকাল ৯টা নাগাদ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙা হাইট বারটি পাশের ফুটপাতে রেখে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সেখানে নতুন হাইট বার লাগানোর কাজ শুরু হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে এই উল্টোডাঙা উড়ালপুলের দেওয়ালেই ধাক্কা মারে একটি লরি। যার জেরে দেওয়ালের ওই অংশ ভেঙে লরিটি নীচে পড়ে যায়। তার পরেই এই উড়ালপুল-সহ শহরের সমস্ত উড়ালপুলে হাইট বার লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই উড়ালপুলের নীচে তেমন বসতি না থাকলেও অন্যান্য উড়ালপুলের নীচে রয়েছে। ভারী গাড়ি উড়ালপুলে উঠে
যাতে বিপদ ঘটাতে না পারে, সেই জন্যই এই পদক্ষেপ। কিন্তু গত কয়েক বছরে গড়ে অন্তত ছ’বার করে এই ধরনের হাইট বার ভাঙার ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। কিন্তু কী ভাবে এই ধরনের ঘটনা আটকানো সম্ভব, তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই কারও। এ দিকে, এ দিনই পথ-নিরাপত্তা সপ্তাহ শেষ হয়েছে। তার মধ্যেই এমন ঘটনায় হাইট বারের বিপত্তি নিয়ে নতুন করে ভাবছে পুলিশ।