সেতু দিয়ে বেপরোয়া গতিতে ছুটছিল একটি গাড়ি। হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি ধাক্কা মারে সেতুর রেলিংয়ে। তবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির এয়ার-ব্যাগ যথা সময়ে খুলে যাওয়ায় কোনও রকমে রক্ষা পেলেন গাড়ির চার আরোহী। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টালা সেতুর উপরে। এই ঘটনায় গাড়িচালক, বরাহনগরের বাসিন্দাকে সৌরভ দাঁ-কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গা়ড়িটি আরজি কর হাসপাতাল থেকে টালা সেতু হয়ে বিটি রোডের দিকে যাচ্ছিল। গাড়িতে ছিলেন চার আরোহী। সেতুর ঢাল বেয়ে নীচে নামার সময়ে হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি সোজা রেলিংয়ে ধাক্কা মারে। ধৃত গাড়িচালক জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময়ে গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১২০ কিলোমিটার। তাই ধাক্কা লাগার পরে রাস্তায় দু’বার পাল্টি খায় গাড়িটি। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পথচারী ও কর্তব্যরত পুলিশ।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গাড়িটি এতটাই দুমড়ে যায় যে তাঁরা ভেবেছিলেন ভিতরের কোনও আরোহী হয়তো বেঁচে নেই। কিন্তু গাড়ির ভিতর থেকে তাঁদের উদ্ধারের সময়ে দেখা যায়, দুর্ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির এয়ার-ব্যাগগুলো খুলে যাওয়ায় কেউই বিশেষ আঘাত পাননি। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানায়, এক জনের মাথায় আঘাত লেগেছে, বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
টালা সেতুর উপরে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বোর্ডে নির্ধারিত গতিবেগ উল্লেখ করা রয়েছে। তা সত্ত্বেও বেপরোয়া গতিতে যে লাগাম টানা যাচ্ছে না, তা বলছেন স্থানীয়েরাই। চিৎপুর থানার এক আধিকারিক জানান, টালা সেতু দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা। এখানে আগেও কয়েক বার দুর্ঘটনা ঘটেছে। গাড়ি চালাতে সর্বোচ্চ গতির বোর্ড লাগানো সত্ত্বেও তা মানেন না অনেক চালকই। এর জেরে ট্র্যাফিক আইনে মামলা দায়েরও হচ্ছে। তবুও বেপরোয়া গতিতে রাশ টানা যাচ্ছে না।