মহেশতলায় ঠাকুরমা ও নাতিকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল এক রাজমিস্ত্রিকে। প্রতীকী ছবি।
মহেশতলায় ঠাকুরমা ও নাতিকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল এক রাজমিস্ত্রিকে। সে আদতে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা হলেও কালীতলা থানা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকত। নাম ইসব শেখ, ওরফে ইউসুফ। রবিবার দুপুরে ঠাকুরপুকুর থেকে আটক করার পরে গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার করে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ। পুলিশি জেরায় ধৃত দাবি করেছে, টাকা-গয়না হাতানোর উদ্দেশ্যেই সে ওই বাড়িতে গিয়েছিল। প্রৌঢ়া গৃহকর্ত্রী দেখে ফেলায় প্রথমে তাঁকে খুন করে সে। তার পরে নাতি চলে আসায় খুন করে তাকেও।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ১২ মে মহেশতলা থানার সরকারপোল এলাকায় প্রৌঢ়া মায়া মণ্ডল (৫৬) ও তাঁর নাতি সোনুকে (৭) মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে বাড়ির আশপাশে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খুঁটিয়ে দেখতে শুরু করে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, সোনুর যে গৃহশিক্ষক সে দিন প্রথম ওই দু’টি মৃতদেহ দেখেন, তাঁর বয়ান অনুযায়ী, সে দিন দুপুর আড়াইটে থেকে সাড়ে চারটে পর্যন্ত সময়ের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তাঁরা। ফুটেজে দেখা যায়, সন্দেহজনক এক ব্যক্তি ছাতা মাথায় ওই বাড়িতে প্রবেশ করছে, আবার খানিক বাদে বেরিয়ে যাচ্ছে। পরিবারের কেউই তাকে চিনতে পারেননি। বিভিন্ন থানায় তার ছবি পাঠিয়ে খোঁজ করতেই জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম ইসব শেখ, ওরফে ইউসুফ। বাড়ি মুর্শিদাবাদে হলেও কালীতলা থানা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকে।
জেরায় ইউসুফ জানিয়েছে, কয়েক মাস আগে মণ্ডল পরিবারের বাড়ি তৈরির সময়ে সেখানে কাজ করেছিল সে। তখনই তার মনে হয়েছিল, ওই পরিবার বেশ ধনী, চুরি বা ডাকাতি করলে প্রচুর টাকা-গয়না মিলবে। সে দিন যখন সে ওই বাড়িতে যায়, তখন প্রৌঢ়ার ছেলে শেখর ছিলেন না। তাঁর স্বামী তারক শয্যাশায়ী। ইউসুফ চুরির চেষ্টা করার সময়ে মায়া সেখানে চলে আসেন। তখন ব্যাগ থেকে হাতুড়ি বার করে তাঁর মাথায় মারে ইউসুফ। বৃদ্ধা লুটিয়ে পড়তেই ছুটে আসে নাতি সোনু। তখন সোনুকেও একই কায়দায় খুন করে সে।