কলকাতা পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
দফতর অনুযায়ী কর্মী সংখ্যা কত, নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার সুবিধার্থে কী ভাবে তাঁদের দক্ষতাকে কাজে লাগানো যাবে, দফতরভিত্তিক কর্মী সংখ্যার পুনর্বিন্যাস— এমন একাধিক বিষয় মূল্যায়নের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে কলকাতা পুরসভা। গত এপ্রিলে গঠিত ১৬ সদস্যের সেই কমিটি প্রাথমিক ধাপের কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই পুর দফতরগুলির থেকে কর্মী-আধিকারিক সংক্রান্ত রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
পুর আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, দফতরভিত্তিক কর্মী সংখ্যার পুনর্বিন্যাসের পরিকল্পনা দীর্ঘ বছর ধরেই ছিল পুর কর্তৃপক্ষের। সেই অনুযায়ী দফায় দফায় কাজও করা হচ্ছিল। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে কমিটি গড়ে এ ব্যাপারে পুর প্রশাসন উদ্যোগী হয় গত এপ্রিলে। এর পরেই কমিটির চেয়ারম্যান তথা পুর কমিশনারের নেতৃত্বে জোরকদমে
কাজ শুরু হয়।
প্রশাসন সূত্রের খবর, বর্তমানে পুরসভার কাজের পরিধি বেড়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে সরকারি একাধিক দফতর, সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কর্মী-আধিকারিকদের কাজের মূল্যায়ন ও সেই অনুযায়ী দায়িত্ব বণ্টনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘তাই কমিটি তৈরি করে পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আগের চেয়ে শহরে করদাতার সংখ্যা বেড়েছে। তাই সম্পত্তিকরের মূল্যায়ন, মূল্যায়ন না হওয়া সম্পত্তি করের আওতায় আনা থেকে শুরু করে পরিবেশ সংরক্ষণ, হকার নিয়ন্ত্রণের মতো নানা বিষয়ের দায়িত্ব পুরসভার উপরে এসে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে কোন দফতরে কত কর্মী-আধিকারিক আছেন, সেই সংখ্যা পর্যাপ্ত কি না, দক্ষ কর্মী-আধিকারিকের কোন কোন ক্ষেত্রে প্রয়োজন— এমন দিকগুলি জানা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে কারণেই ‘ম্যানপাওয়ার ইভ্যালুয়েশন কমিটি’ বিভিন্ন দফতরের কাছ থেকে সংগৃহীত রিপোর্টের তথ্য আপাতত খতিয়ে দেখছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।