ছাত্রকে স্কুলে যেতে নিষেধ, থানায় মা

জেমস লং সরণির ওই স্কুলের অধ্যক্ষ হার্বার্ট জর্জ অবশ্য বলছেন, ‘‘ওই ছাত্রের নামে অনেক অভিযোগ রয়েছে। ওর জন্য অন্য পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:০৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

চক দিয়ে অন্য ছাত্রের পিঠে ইংরেজিতে এগারো লিখেছে তাঁর ছেলে! স্রেফ এই কারণেই নবম শ্রেণির ওই ছাত্রকে স্কুল কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্ট কালের জন্য সাসপেন্ড করেছেন বলে অভিযোগ এক মহিলার। গত সোমবার স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বেহালা থানায় এমনই অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা। তাঁর দাবি, সাসপেন্ড হওয়ায় চূড়ান্ত পরীক্ষার আগে ২০ নম্বরের ছোট ছোট পরীক্ষাগুলি দিতে পারছে না তাঁর ছেলে। ফলে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ছে ওই পড়ুয়া।

Advertisement

জেমস লং সরণির ওই স্কুলের অধ্যক্ষ হার্বার্ট জর্জ অবশ্য বলছেন, ‘‘ওই ছাত্রের নামে অনেক অভিযোগ রয়েছে। ওর জন্য অন্য পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। ওই ছাত্রকে আমরা পুরোপুরি বার করে দিতে পারতাম। কিন্তু ওর ভবিষ্যতের কথা ভেবে বলা হয়েছে, বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করো। স্কুলে শুধু পরীক্ষা দিতে আসুক।’’

লেক গার্ডেন্স এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রের বাবা মারা গিয়েছেন। মা-ই তার অভিভাবক। মায়ের দাবি, নবম শ্রেণিতে ওঠার পর থেকেই তাঁর ছেলেকে স্কুলে নানা ভাবে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘সব চেয়ে সমস্যা করেন ছেলের ক্লাসটিচার। তিনি স্কুলে ইংরেজি পড়ান। ছেলে বাড়ির কাজ করে নিয়ে গিয়ে জমা করলেও সেই দিদিমণি বলেন, খাতা পাননি।’’ তিনি আরও বলছেন, ‘‘স্কুল বলছে আমার ছেলে সমস্যা তৈরি করছে। অথচ, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তার প্রমাণ দেখাতে পারছেন না। ওকেই উল্টে স্কুলে মারধর করে অন্য পড়ুয়ারা।’’ ওই ছাত্রের মায়ের দাবি, স্কুলে এমন হেনস্থা নিতে না পেরে মনমরা থাকছে তাঁর ছেলে।

Advertisement

স্কুলের অধ্যক্ষ অবশ্য জানাচ্ছেন, ওই ছাত্র সব সময়ে মারামারি করে, অন্য ক্লাসে ঢুকে গিয়ে সমস্যা তৈরি করে। তাকে বারবার বুঝিয়ে এবং সাবধান করেও লাভ হয়নি। অন্য অভিভাবকেরাও ওই ছাত্রের নামে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাই শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement