হলে অনুষ্ঠান, জানে না পুরসভা

পুরসভার অভিযোগ, তাদের কোনও অনুমতি ছাড়াই ওই হল ব্যবহার করা হচ্ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিভিন্ন ওয়ার্ড অফিসের উপরে কমিউনিটি হল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিধাননগর পুরসভা। সামাজিক অনুষ্ঠানে সেগুলি ভাড়া দিয়ে পুরসভার আয় বাড়াতেই এমন পরিকল্পনা হয়েছিল। সেই অনুসারে পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড অফিসের দোতলায় হল তৈরির কাজ হয়েছে। সেখানেই বুধবার সকালে একটি বিয়েবাড়ির রান্নার তোড়জোড় চলছিল। বিয়েবাড়ি সাজানোর কাজও কিছুটা এগিয়েছিল। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুরসভার আধিকারিকেরা। বিয়ে বাড়ির উদ্যোক্তাদের বলা হয়, সেখানে বিয়ের আয়োজন করা যাবে না। এখানেই ঘটনার শেষ নয়। এর পরে পুরসভার তরফে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা করা হয়। পুরসভার অভিযোগ, তাদের কোনও অনুমতি ছাড়াই ওই হল ব্যবহার করা হচ্ছিল।

Advertisement

পুরসভা জানিয়েছে, ওই কমিউনিটি হল এখনও চালু করা হয়নি। ফলে সেটি ব্যবহার করতে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কারা এ দিন হলটি ভাড়া নিয়েছিলেন, তার কোনও নথি নেই। কে বা কারা ওই হলটি ব্যবহার করতে দিলেন, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুরসভা। যদিও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই হলে এর আগেও বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে। হল ভাড়া বাবদ কয়েক হাজার টাকাও নেওয়া হয়েছে বলে এলাকায় জল্পনা চলছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের এমন অভিযোগের সমর্থন মিলেছে খোদ মেয়র সব্যসাচী চক্রবর্তীর কথাতেও। তিনি বলেন, ‘‘পুরসভার আধিকারিকেরা ঘটনা খতিয়ে দেখেছেন। এর আগেও ওই হলে অনুষ্ঠান হয়েছে বলে শুনছি। তেমন হয়ে থাকলে তা সম্পূর্ণ বেআইনি, আইনত দণ্ডনীয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।’’

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, কিছু দিনের মধ্যেই ওই হল চালু হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই সকলের চোখের সামনে হলটি ব্যবহার করা হল, অথচ কেউ তা জানতে পারল না, সেটা কী ভাবে সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়দেব নস্করের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তাঁর মোবাইল বন্ধ করা ছিল।

যদিও পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিনের অনুষ্ঠানের জন্য হলটি ভাড়া দেওয়া হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুরসভা। কিন্তু ভাড়া নেওয়া হয়ে থাকলে সেই টাকা কি পুরসভার কোষাগারে জমা পড়েছে? যাঁরা অনুষ্ঠানের জন্য হল নিয়েছিলেন তাঁদের কোনও রসিদ দেওয়া হয়েছিল কি না, তা খোঁজ করে দেখা হচ্ছে। মেয়র সব্যসাচীবাবু বলেন, ‘‘ওই হল এখনও চালু হয়নি। ভাড়াও নির্দিষ্ট করা হয়নি। তাই ভাড়ায় ব্যবহার করতে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল কি না, কে হল ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement