লাইনে নেমে ট্রেন আটকালেন পুলিশকর্মী

রেল পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার রাতে সাড়ে ১০টা নাগাদ গড়িয়া স্টেশন থেকে এক মহিলা পুলিশকর্মী ও তাঁর স্বামী ডাউন ক্যানিং লোকালে উঠেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:০৮
Share:

দুই যাত্রীর মধ্যে বচসার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার সোনারপুর স্টেশনে।

Advertisement

রেল পুলিশ সূত্রের খবর, শনিবার রাতে সাড়ে ১০টা নাগাদ গড়িয়া স্টেশন থেকে এক মহিলা পুলিশকর্মী ও তাঁর স্বামী ডাউন ক্যানিং লোকালে উঠেছিলেন। ওই মহিলার স্বামী সেনাবাহিনীর জওয়ান। ট্রেনে ওঠার পরে কোনও একটি বিষয় নিয়ে দুই যাত্রীর সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। তা গড়ায় মারামারিতে। ট্রেন সোনারপুরে পৌঁছনোর পরে তাঁদের হেনস্থার প্রতিবাদে ওই মহিলা পুলিশকর্মী লাইনে নেমে ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, চালক একাধিক বার অনুরোধ করার পরেও তিনি সরেননি। শেষমেশ সোনারপুর জিআরপি-র অফিসারেরা এসে ওই পুলিশকর্মীকে স্টেশনে নিয়ে আসেন। তার পরেই ট্রেন ছাড়ে।

রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই ঘটনার জেরে প্রায় ১০ মিনিট দেরিতে ক্যানিং লোকাল ছাড়ে। সোনারপুর রেলপুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় উভয় পক্ষের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রেলের তরফে ট্রেন চলাচলে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ওই মহিলা পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধেও পৃথক একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে রবিবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জানিয়েছে রেলপুলিশ।

Advertisement

সোনারপুর জিআরপি সূত্রের খবর, অভিযুক্ত মহিলা পুলিশকর্মী বারুইপুর জেলা পুলিশের অধীনে কর্মরত। শনিবার রাতের ঘটনা সম্পর্কে বারুইপুর জেলা পুলিশের কর্তাদের কাছেও জিআরপির তরফে জানানো হয়েছে। রেলপুলিশের তদন্তকারীদের কথায়, নিচুতলার হলেও ওই মহিলা পুলিশকর্মী আইনের ‘রক্ষক’। সে ক্ষেত্রে তিনি সরাসরি রেললাইনে নেমে ট্রেন না আটকে থানায় অভিযোগ জানাতে পারতেন। ১০ মিনিট দেরি হলেও ট্রেনের চালক ও গার্ডকে উপরমহলে জবাবদিহি করতে হয়। বারুইপুর জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement