বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কা গাড়িতে

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার ভোর পৌনে চারটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পার্ক সার্কাস কানেক্টরের আগে তপসিয়ায়। সোমবার সেখানে একটি গাড়ির নথি পরীক্ষা করছিলেন তপসিয়া থানার পুলিশকর্মীরা। হঠাৎই তপসিয়া থেকে পার্ক সার্কাস চার নম্বর ব্রিজের দিকে যাওয়া একটি ট্রাক ধাক্কা মারে গাড়িটিকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:০২
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাতের শহরে বেপরোয়া গা়ড়ির ধাক্কায় এ বার জখম হলেন এক পুলিশ অফিসার। আহতের নাম স্বপন দেওয়ানজি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার ভোর পৌনে চারটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পার্ক সার্কাস কানেক্টরের আগে তপসিয়ায়। সোমবার সেখানে একটি গাড়ির নথি পরীক্ষা করছিলেন তপসিয়া থানার পুলিশকর্মীরা। হঠাৎই তপসিয়া থেকে পার্ক সার্কাস চার নম্বর ব্রিজের দিকে যাওয়া একটি ট্রাক ধাক্কা মারে গাড়িটিকে। সেই ধাক্কায় মাটিতে পড়ে যান পুলিশকর্মীরা। তখনই পায়ে আঘাত পান স্বপনবাবু। পুলিশ জানায়, বেগতিক বুঝে ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সেটির চালক। তার পরেই পুলিশের একটি গাড়ি ট্রাকটিকে তাড়া করতে শুরু করে। রাস্তা থেকে উঠে বন্দুক নিয়ে সেটির পিছনে দৌড়তে শুরু করেন পুলিশকর্মীরাও। কয়েক মিনিটের মধ্যেই কার্যত ফিল্মি কায়দায় ট্রাকটিকে ওভারটেক করে সামনে আড়আড়ি ভাবে দাঁড়িয়ে পড়ে পুলিশের গাড়িটি। থেমে যায় ট্রাকটিও। এর পরে ট্রাকে উঠে চালককে টেনে নামিয়ে আনেন পুলিশকর্মীরা। গ্রেফতার করা হয় ট্রাকের চালক লক্ষ্মীন্দর রাইকে।

রাতের শহরে বেপরোয়া যান চলাচলে রাশ টানতে পুলিশ বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে দাবি। কিন্তু কোনও ভাবেই যে তাতে লাগাম পরানো যাচ্ছে না, ফের এই ঘটনা থেকে তা প্রমাণ হল। গত শুক্রবারই সল্টলেকে বেপরোয়া ভাবে মোটরবাইক চালিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন এক জন সিভিক ভলান্টিয়ার ও তাঁর এক বন্ধু। খাস কলকাতাতেও বারবার বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়ছেন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু কিছুতেই এই প্রবণতা কমানো যাচ্ছে না বলে চিন্তিত পুলিশ প্রশাসন।

Advertisement

এক পুলিশ কর্তা জানান, সোমবার যে ব্যক্তিগত গাড়ির নথি পরীক্ষা করা হচ্ছিল, সেটির পিছনে ধাক্কা না মেরে ট্রাকটি সরাসরি পুলিশকর্মীদের ধাক্কা মারলে বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। ফলে রাতের শহরে নাগরিকদের যাঁরা সুরক্ষা দেবেন, তাঁদের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। যদিও ওই পুলিশ কর্তা জানান, সকলেই বিশ্বাস করেন সচেতনতা ও প্রচারের মাধ্যমেই এই প্রবণতায় রাশ টানা সম্ভব। ফলে স্কুল, রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ মোড়-সহ বিভিন্ন জায়গাতেই এ নিয়ে নিরন্তর প্রচার চলবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement