—প্রতীকী ছবি।
অভিযুক্তকে রেহাই পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল পার্ক স্ট্রিট থানার এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে।
সংস্থার কর্মী হিসাবে হাওড়ার সালকিয়ার বাসিন্দা সাগর দুবের কাজ ছিল বাজার থেকে টাকা আদায় করে সংস্থার অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া। কিন্তু সেই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ আগেই গ্রেফতার করে সাগরকে। ব্যাঙ্কশাল আদালত তাঁকে পুলিশি হেফাজতে পাঠায়। মামলা থেকে সাগরকে রেহাই পাইয়ে দেওয়ার জন্য এ বার তাঁর বাড়ির লোকের থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল পার্ক স্ট্রিট থানার এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে। সাগর পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর ভাই অমিত দুবেকে বার বার হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, পছন্দের উকিলকে দিয়ে মামলা লড়ারও চাপ দেন ওই পুলিশ আধিকারিক। বৃহস্পতিবার অমিত আইনজীবীর মাধ্যমে ব্যাঙ্কশাল আদালতে এ নিয়ে হলফনামা দিয়ে অভিযোগ জানান।
আদালত সূত্রের খবর, পার্ক স্ট্রিটের এক সংস্থায় কাজ করতেন সাগর। অভিযোগ, বাজার থেকে সংস্থার প্রায় ৩ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা তুলে তা আত্মসাৎ করেন তিনি। গত অক্টোবরে সংস্থার তরফে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পার্ক স্ট্রিট থানা। অমিতের অভিযোগ, ‘‘গত ৩ জানুয়ারি দ্বিতীয় বার দাদাকে থানায় ডাকা হয়। দাদা, আমি এবং মা রিঙ্কু দুবে থানায় গেলে ওই পুলিশ আধিকারিক ৬০ হাজার টাকা চান এবং তাঁর পছন্দের উকিলকে দিয়ে মামলা লড়তে বলেন। জানান, তা হলে মামলা থেকে রেহাই পেয়ে যাবে দাদা।’’ অমিতের আরও দাবি, ‘‘আমরা টাকা দিতে পারব না বলায় আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে থানা থেকে বার করে দেওয়া হয়।’’
সাত দিনের পুলিশি হেফাজত শেষে বৃহস্পতিবার সাগরকে আদালতে হাজির করা হয়। অমিতের অভিযোগ, শুনানি শুরুর ৩০ মিনিট আগেও তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ কল করে একই হুমকি দেন ওই পুলিশ আধিকারিক। সাগরদের আইনজীবী শতাব্দী রুদ্র সিংহ বলেন, ‘‘ওই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ারও আর্জি জানানো হয়েছে। ১৬ জানুয়ারি শুনানির কথা।’’ সরকারি আইনজীবী জানান, আত্মসাৎ করা টাকা দিয়ে ব্যক্তিগত ঋণ মিটিয়েছেন সাগর। তাঁর ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ফের পুলিশি হেফাজত হয়েছে।