Arrest

সম্পর্কের টানাপড়েনে খুন তরুণীকে, ধৃত প্রেমিক

পুলিশ সূত্রের খবর, অভিষিক্তার স্বামী বুদ্ধদেব জানিয়েছিলেন, স্ত্রীর সঙ্গে ফেসবুকের বন্ধুর সম্পর্ক ঘিরে পরিবারে অশান্তি চলছিল। পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ গিয়ে পড়ে কৌশিকের উপরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:৩৯
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

স্বামী-সন্তান থাকা সত্ত্বেও বিবাহ-বিচ্ছিন্না পরিচয় দিয়ে সমাজমাধ্যমের বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তরুণী। প্রেমিকের তরফ থেকে বিয়ের জন্য চাপ আসছিল। ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতেও চেয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু সেই সুযোগ পেলেন না।

Advertisement

শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ কেষ্টপুরের রবীন্দ্রপল্লির এক বহুতলের ফ্ল্যাট থেকে দেহ উদ্ধার হয় অভিষিক্তা সাহা নামে ওই তরুণীর। ওই রাতেই তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে তাঁর প্রেমিক কৌশিক সাহা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে বাগুইআটি থানার পুলিশ। শনিবার বিধাননগর কমিশনারেটের বিমানবন্দর ডিভিশনের ডিসি ঐশ্বর্যা সাগর জানান, জেরায় কৌশিক খুনের কথা স্বীকার করেছেন। বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ককে কেন্দ্র করেই তরুণী খুন হয়েছেন বলে ডিসি জানান। এ দিন ধৃতকে বারাসত আদালতে তোলা হলে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

পুলিশ সূত্রের খবর, অভিষিক্তার স্বামী বুদ্ধদেব জানিয়েছিলেন, স্ত্রীর সঙ্গে ফেসবুকের বন্ধুর সম্পর্ক ঘিরে পরিবারে অশান্তি চলছিল। পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ গিয়ে পড়ে কৌশিকের উপরে। পরে এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজেদেখা যায়, একটি বিশেষ সংস্থার মোটরবাইকে চেপে কৌশিক ওই ফ্ল্যাটে শুক্রবার এসেছিল। তদন্তকারীরা জানান, কৌশিকের মোবাইলের টাওয়ারের অবস্থান খতিয়ে দেখে তার ফ্ল্যাটে আসার বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হন তাঁরা। দমদমের মধুগড়ে একটি বাড়িতে একাই ভাড়া থাকত কৌশিক। শুক্রবার মধ্যরাতের আগেই তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়। বাইকটিও আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

রবীন্দ্রপল্লির ওই ফ্ল্যাটে এক বছর আগে থাকতে এসেছিলেন অভিষিক্তা ও বুদ্ধদেব। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিষিক্তা বিউটি পার্লারে চাকরি করতেন। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেইচাকরি করায় তাঁদের একমাত্র সন্তান থাকত বুদ্ধদেবের মা-বাবার কাছে। শুক্রবার বেলার দিকে বার বার ফোন করার পরেও স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে বাড়ি ফিরে আসেন বুদ্ধদেব। ফ্ল্যাটে ঢুকে দেখেন, গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় খাটের উপরে পড়ে রয়েছে স্ত্রীর দেহ। তিনিই বাগুইআটি থানায় ফোন করে খবর দেন।

পুলিশের দাবি, নিজেকে বিবাহ-বিচ্ছিন্না দাবি করে কৌশিকের সঙ্গে আলাপ জমিয়েছিলেন অভিষিক্তা। পাঁচ-ছ’মাসের মধ্যেই দু’জনের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। কৌশিক বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করলে অভিষিক্তা সত্য কবুল করে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন। শুক্রবার বুদ্ধদেব বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে কৌশিক তাঁদের ফ্ল্যাটে যায়। তখন দু’জনের মধ্যে গোলমাল হয়। তার পরে কৌশিক গলায় ফাঁস দিয়ে অভিষিক্তাকে খুন করে বলে অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement