Robbery

রাতের অন্ধকারে এন্টালিতে যুবককে অস্ত্রের কোপ মেরে লুট! আহত অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে

পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে কারখানা বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন ইফতিকার। পাঁচ নম্বর গলি দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ে মহম্মদ দানিশ তাঁর পথ আটকায় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২৩ ০৭:২৯
Share:

অভিযুক্ত মহম্মদ দানিশ —ফাইল চিত্র।

রাতের অন্ধকারে এক যুবককে ধারালো অস্ত্রের এলোপাথাড়ি কোপ মেরে তাঁর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হল মোবাইল ফোন, সোনার হার ও নগদ ৩৫ হাজার টাকা। রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে এন্টালি থানা এলাকার মতিঝিল বস্তিতে। সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর নাম ইফতিকার আহমেদ। কনভেন্ট রোডের বাসিন্দা ওই যুবক মতিঝিল বস্তিতে একটি ব্যাগের কারখানা চালান। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মহম্মদ দানিশকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে কারখানা বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন ইফতিকার। পাঁচ নম্বর গলি দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ে মহম্মদ দানিশ তাঁর পথ আটকায় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। পথ আটকে প্রথমে ইফতিকারের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন চায় দানিশ। কিন্তু ইফতিকার দিতে অস্বীকার করায় পকেট থেকে ধারালো অস্ত্র বার করে তাঁর উপরে চড়াও হয় ওই দুষ্কৃতী। এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকে। জখম ইফতিকার রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়েন। তখন অভিযুক্ত দুষ্কৃতী ইফতিকারের মোবাইল, নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও গলায় থাকা সোনার হার নিয়ে চম্পট দেয়। পরে স্থানীয়েরা এসে এন্টালি থানার পুলিশকে খবর দেওয়ার পাশাপাশি আহত যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ইফতিকার এখন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর বুকে, পেটে, হাতে ও গলায় আঘাত লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ইফতিকারের পরিবারের তরফে এন্টালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত দানিশ পলাতক।

স্থানীয়েরা দানিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন। আগেও একাধিক বার সে বিভিন্ন জনের উপরে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ আসলাম বললেন, ‘‘এর আগেও নানা অপরাধে নাম জড়িয়েছে দানিশের। পুলিশকে বলেও লাভ হয়নি।’’ পুলিশও জানিয়েছে, দানিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এমনকি, একাধিক বার জেলেও গিয়েছে সে। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযুক্তের সঙ্গে আরও কেউ ছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুধুমাত্র লুটের উদ্দেশ্যে এই হামলা, না কি এর পিছনে পুরনো কোনও বিবাদ রয়েছে, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement