Labour Died

বহুতলে রং করতে গিয়ে পড়ে মৃত শ্রমিক

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, ছ’তলা ওই বহুতলে রঙের কাজ করার সময়ে শামসুদ্দিনের শরীরে দড়ি বাঁধা থাকলেও হেলমেট ও সুরক্ষা-বিধির অন্যান্য সামগ্রী ছিল না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:১৬
Share:
An image of Labour

ঝুকিপূর্ণ: কোনও রকম সুরক্ষা বিধি না মেনেই বিপজ্জনক ভাবে চলছে বিদ্যাসাগর সেতুর ব়্যাম্প রং করার কাজ। বুধবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী।

ছ’তলা বহুতলের বাইরের অংশে রং করতে গিয়ে পাঁচতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে গড়িয়াহাট থানা এলাকার ডোভার লেনে। মৃতের নাম শামসুদ্দিন মিস্ত্রি (২২)। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশপুরের ব্যাসপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পরে শামসুদ্দিনকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শামসুদ্দিনের সঙ্গে তাঁর বাবা আব্দুল খালেকও ওই বহুতলে রঙের কাজ করছিলেন। ঘটনার সময়ে তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ দিন রাত পর্যন্ত মৃতের পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের
করা হয়নি। তবে পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, ছ’তলা ওই বহুতলে রঙের কাজ করার সময়ে শামসুদ্দিনের শরীরে দড়ি বাঁধা থাকলেও হেলমেট ও সুরক্ষা-বিধির অন্যান্য সামগ্রী ছিল না। ওই দড়ি যে হুকে আটকানো ছিল, তা কোনও ভাবে খুলে যাওয়ার কারণেই শামসুদ্দিন নীচে পড়ে যান। কী ভাবে ওই হুক খুলে তিনি নীচে পড়ে গেলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। একই সঙ্গে কাজের সময়ে শ্রমিকদের সুরক্ষার বিষয়টি ঠিক ভাবে মেনে চলা হয়েছিল কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

বহুতলে কাজ করতে গিয়ে উপর থেকে পড়ে শ্রমিক-মৃত্যুর ঘটনা শহরে প্রায়ই ঘটে চলেছে। মূলত সুরক্ষা-বিধি না মেনে শ্রমিকদের বহুতলে কাজ করানো হয়ে থাকে বলে অভিযোগ। তবে এ দিন শামসুদ্দিন প্রাথমিক সুরক্ষা সরঞ্জাম নিয়ে কাজ করতে উপরে উঠেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে তাঁর সঙ্গে ছিল না হেলমেটের মতো সুরক্ষা-অস্ত্র।

একটি সূত্রের দাবি, শামসুদ্দিনের বাবা ওই রঙের কাজের বরাত ধরতেন। তার পরে ছেলেকে
সঙ্গে নিয়ে বহুতল বা অন্যত্র রঙের কাজ করতেন। যে বহুতলে কাজ করতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাদের তরফে সব রকম সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করার কথা
বলা হলেও আব্দুলরা তার সব ক’টি যথাযথ ভাবে মানেননি বলেই
প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন