প্রত্যাবর্তন: সিনেমা হল খুললেও সে ভাবে দেখা নেই দর্শকের। টিকিট কাউন্টারের সামনে তাই অবাধে খেলছে খুদেরা। বৃহস্পতিবার, বাইপাসের ধারে স্বভূমিতে। ছবি: সুমন বল্লভ
ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সিনেমা দেখার রুটিনে তাঁরাও অভ্যস্ত হয়েছেন গত কয়েক মাসে। তবু পেশায় শিক্ষিকা, বেলঘরিয়ার টটল দেবনাথের কাছে এখনও হলের বড় পর্দায় সিনেমা দেখার আকর্ষণই আলাদা।
বৃহস্পতিবার লকডাউন-পরবর্তী পর্বে প্রায় সাত মাস বাদে সিনেমার পর্দা উঠতেই তাই তর সয়নি তাঁর। তবে ঠিক ‘ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো’ নয়, স্বামী চিন্ময় ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে টটলদেবী বেলঘরিয়ার রূপমন্দির হলে হাজির সন্ধ্যার শোয়ে। সুশান্ত সিংহ রাজপুত অভিনীত ‘কেদারনাথ’ আগে বার দুয়েক দেখা হলেও পছন্দের টানে তিনি আবার হলমুখো হয়েছেন।
‘‘মাঝে ছবি দেখতে বাড়ি থেকে একটু দূরেই যেতে হচ্ছিল। এখন বেলঘরিয়ার এই হল সংস্কারের পরে প্রায়ই আসছি। কোনও সিনেমা ভাল লাগলে আমার এক বার দেখে হয় না! বার বার আসি।’’— বললেন টটলদেবী। তাঁর মতে, ‘‘বাড়িতে নানা কাজের চাপে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মন দিয়ে ছবি দেখা কঠিন। আমার কাছে সিনেমা হলই সব থেকে সেরা।’’ এ দিন বেলঘরিয়ায় দুপুরের শো হয়ইনি। পরের দু’টি শোয়ে লোক হাতে গোনা।
আরও পড়ুন: বিসর্জনে শোভাযাত্রা নয়, গাড়িতে সর্বাধিক ছ’জন
এই সিঙ্গল স্ক্রিন হলটি ছাড়া কলকাতা বা আশপাশে শো হয়েছে আইনক্সের স্বভূমি এবং মধ্যমগ্রামে। সেখানেও দর্শক-সংখ্যা যৎসামান্য। তবে আপাতত হলগুলির লক্ষ্য সিনেমা দেখার সংস্কৃতিটা চালু করা। নন্দন কর্তৃপক্ষও এ দিন শো চালু করতে পারেননি। তথ্য-সংস্কৃতি বিভাগের এক কর্তা বলেন, ‘‘পরিকাঠামো শুধরোতে, দূরত্ব-বিধি চালু করতে সময় লাগছে। নন্দন খুলবে সম্ভবত কাল, শনিবার।’’ প্রিয়া, বসুশ্রীর মতো কয়েকটি হল এবং পিভিআরের মাল্টিপ্লেক্স খোলার কথা আজ, শুক্রবার। পুজোর মুখে নতুন কয়েকটি বাংলা ছবি নিয়ে দরজা খুলবে বেশির ভাগ হল।