Unnatural Death

মেয়ের মৃত্যুর বর্ষপূর্তির আগে উদ্ধার দম্পতির মৃতদেহ

এ দিন সকালে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় রঞ্জন মণ্ডল (৫০) ও মৌসুমী মণ্ডল (৪২) নামে ওই দম্পতির দেহ। বারাসত থানার পুলিশ জানায়, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, তাঁরা আত্মঘাতী হয়েছেন। বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে তাঁদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪ ০৮:০৯
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

একমাত্র মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন এক বছর আগে, জুলাই মাসে। যে দিন মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল, তার এক বছর পূর্ণ হওয়ার ১৫ দিন আগে উদ্ধার হল মা-বাবার পচাগলা দেহ। শুক্রবার সকালে বারাসতের সপ্তর্ষিনগরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। প্রতিবেশীরা বুঝতে পারেন, বেড়াতে যাওয়ার কথা বললেও আসলে ঘরের ভিতরেই ছিলেন শোকে মুহ্যমান দম্পতি।

Advertisement

এ দিন সকালে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় রঞ্জন মণ্ডল (৫০) ও মৌসুমী মণ্ডল (৪২) নামে ওই দম্পতির দেহ। বারাসত থানার পুলিশ জানায়, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, তাঁরা আত্মঘাতী হয়েছেন। বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। তরল জাতীয় কিছুর একটি পাত্রও উদ্ধার হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে। পাওয়া গিয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। তাতে তাঁরা লিখে গিয়েছেন, তাঁদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, মেয়ের মৃত্যুর পর থেকে ওই দম্পতির মধ্যে জীবন নিয়ে কোনও উৎসাহ ছিল না। বেঁচে থাকার কোনও ইচ্ছা কিংবা উদ্দেশ্য নেই— এমনটা তাঁরা অনেক বার জানিয়েছেন বলেই দাবি প্রতিবেশী মমতা রায়ের। সম্প্রতি শোক ভুলতে মৌসুমী একটি বাড়িতে বাচ্চা দেখাশোনার কাজও নিয়েছিলেন। সেই পরিবারটি বেড়াতে যাওয়ায় দিনকয়েকের ছুটি পান মৌসুমী। প্রতিবেশীদের তাঁরা জানিয়েছিলেন, মায়াপুর যাচ্ছেন।

Advertisement

পুলিশের ধারণা, চার-পাঁচ দিন আগেই আত্মঘাতী হন দম্পতি। বৃহস্পতিবার থেকেই ওই বাড়ির আশপাশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। এ দিন সকালে এক প্রতিবেশী মৌসুমীর এক আত্মীয়কে ডেকে পাঠান। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশে খবর দিলে দেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই দম্পতির একমাত্র মেয়ে পর্ণা বারাসত কলেজের ছাত্রী ছিলেন। মোবাইল ব্যবহার নিয়ে পর্ণার সঙ্গে তাঁদের টানাপড়েন চলছিল। রঞ্জন মেয়ের মোবাইল কেড়ে নিয়েছিলেন। তার পরে গত বছরের ২০ জুলাই তাঁরা বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement