প্রতীকী ছবি।
বন্দুক নিয়ে ধস্তাধস্তি বেধেছিল বাবা-ছেলের মধ্যে। অভিযোগ, সেই সময়ে হঠাৎই বাবার হাত থেকে বন্দুক পড়ে গিয়ে ছিটকে বেরোয় গুলি। যাতে জখম হয়েছেন ছেলে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সরশুনা থানা এলাকার নস্করপাড়ায়। এই ঘটনায় প্রমোদ কুমার নামে প্রাক্তন ওই সেনাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর ছেলে পবন কুমারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে নস্করপাড়ায় প্রমোদের বাড়িতে গেলে তাঁর পরিবারের লোকজন ঘটনাটি সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি। তবে ওই পরিবারের এক প্রতিবেশী লাল্টু সরকার জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ হঠাৎই বাজি ফাটার মতো একটি আওয়াজ শুনতে পান তাঁরা। এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই দেখেন, বাড়ির গেট খুলে বেরিয়ে আসছেন পবন। দু’পা দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। ওই যুবক কোনও রকমে জানান, বাবার দোনলা বন্দুক থেকে গুলি বেরিয়ে তাঁর পায়ে লেগেছে। জখম হয়েছে তাঁদের পোষ্য কুকুরটিও। লাল্টু বলেন, ‘‘পবনের কথা শুনে আমরা হকচকিয়ে যাই। সঙ্গে সঙ্গে আমি মোটরবাইকে চাপিয়ে ওঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’’ জানা গিয়েছে, প্রথমে পবনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, রাতে মাঝেমধ্যেই প্রমোদদের বাড়ি থেকে উচ্চগ্রামে আওয়াজ পেতেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার রাতেও তেমন আওয়াজ শুনে প্রথমে খুব একটা গুরুত্ব দেননি। কিন্তু এমন গুলি চালানোর ঘটনা যে ঘটবে, তা ভাবতে পারছেন না তাঁরা।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রমোদের দোনলা বন্দুকের লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু কী কারণে বন্দুক নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে ধস্তাধস্তি বাধল?
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, কোনও একটি বিষয় নিয়ে প্রমোদের সঙ্গে পবনের বচসা শুরু হয়েছিল। সেই সময়ে হঠাৎ বন্দুক বার করেন প্রমোদ। ছেলে সেই বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। তখনই প্রমোদের হাত থেকে বন্দুকটি পড়ে ছররা গুলি বেরিয়ে য়ায়। বন্দুকটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।