Crime

খুন, হামলা ও লুটের ঘটনায় অবশেষে গ্রেফতার বাংলাদেশি নাগরিক

মঙ্গলবার ব্যারাকপুরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অজয় প্রসাদ জানান, দু’টি ঘটনাতেই কৌশল ছিল এক। বাগান পরিষ্কার করা বা গাছ থেকে নারকেল পেড়ে আনার মতো কাজের নাম করে বাড়িতে ঢুকেছিল রবিউল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:৪৮
Share:

ব্যারাকপুর কমিশনারেটের তদন্তকারীরা অবশেষে গ্রেফতার করেছেন সেই অভিযুক্তকে। তার নাম রবিউল গাজি (৩২)। প্রতীকী ছবি।

লুটপাটের উদ্দেশ্যে দমদমের নাগেরবাজার এলাকায় এক প্রৌঢ়াকে খুন করা হয়েছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। এর পরে প্রায় একই কায়দায় ফেব্রুয়ারি মাসে নিমতা থানা এলাকায় হামলা হয় এক বৃদ্ধার উপরে। তিনি গুরুতর ভাবে জখম হন। এই দু’টি ঘটনায় হামলার ধরন দেখে তদন্তকারীদের অনুমান ছিল, একই দুষ্কৃতী দু’টি অপরাধ করেছে। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের তদন্তকারীরা অবশেষে গ্রেফতার করেছেন সেই অভিযুক্তকে। তার নাম রবিউল গাজি (৩২)। সে বাংলাদেশের খুলনা জেলার বাসিন্দা বলে জেনেছে পুলিশ।

Advertisement

মঙ্গলবার ব্যারাকপুরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অজয় প্রসাদ জানান, দু’টি ঘটনাতেই কৌশল ছিল এক। বাগান পরিষ্কার করা বা গাছ থেকে নারকেল পেড়ে আনার মতো কাজের নাম করে বাড়িতে ঢুকেছিল রবিউল। তার পরে সুযোগ বুঝে এক জনকে খুন এবং অন্য জনকে জখম করে গয়নাগাঁটি লুট করে চম্পট দেয় সে। নাগেরবাজারের ঘটনায় অভিযুক্তের আক্রমণে মৃত্যু হয় মুনমুন মুখোপাধ্যায়ের (৬২)। অন্য ঘটনায় জখম হন নিমতার সর্বাণী দাস (৭২)।

অভিযুক্তের হদিস পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল পুলিশকে। কারণ, তার সম্পর্কে বিশেষ কোনও তথ্য ছিল না। পুলিশ জানায়, নাগেরবাজার ও নিমতা থানার অফিসারদের নিয়ে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়। পাশাপাশি, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে অভিযুক্তের ছবি সংগ্রহ করে সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন থানা এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে পার্শ্বস্থ কয়েকটি থানা এলাকায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন বাড়ি থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

Advertisement

খবর মেলে, দমদমের একটি বাড়িতে ২০-২৫ দিন ধরে ভাড়া আছে অভিযুক্ত। মঙ্গলবার ভোরে নিমতা থানা এলাকার শ্রীনগর আন্ডারপাস এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement