ঘুনি এলাকায় বিধি ভেঙে বেরোনোয় পুলিশের তাড়া। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে সাপ্তাহিক দু’দিনের লকডাউন। চলতি সপ্তাহের লকডাউনে বুধবার বিধাননগর কমিশনারেট এলাকা ঘুরে উঠে এল বিধি মানা-না মানার মিশ্র ছবি।
বড় রাস্তায় গাড়ি চলেছে অল্প। লোকজনও ছিল না বললেই চলে। অথচ কোনও কোনও পাড়ায় দেখা গিয়েছে উল্টো ছবি। কেউ বাড়ি থেকে বেরিয়ে পুকুরে মাছ ধরতে বসেছেন, কেউ আবার দোকান খুলেছেন। যথারীতি ভিড় জমেছে সেখানে। তবে সেই খবর পৌঁছতেই দ্রুত পদক্ষেপ করেছে পুলিশ।
জরুরি কাজের নামে অনেকেই বেরিয়েছিলেন। যদিও তাঁদের বেশির ভাগই পর্যাপ্ত প্রমাণ দেখাতে পারেননি। তাঁদের আটক করা হয়েছে।
যেমন, ভিআইপি রোডে এক দম্পতি স্কুটারে চড়ে যাচ্ছিলেন। সূত্রের খবর, পুলিশ জানতে পারে তাঁরা গুটখা কিনতে বেরিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের আটক করা হয়। ইকো পার্ক থানা এলাকায় কিছু দোকান খোলা রয়েছে বলে খবর পায় পুলিশ। এও খবর আসে, দোকানের সামনে ভিড় করেছেন মানুষ। দ্রুত পুলিশ গিয়ে রীতিমতো লাঠি উঁচিয়ে কয়েক জনকে তাড়া করে। আটক করা হয়েছে তাঁদের। এ ভাবেই পুলিশ সক্রিয় থেকে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে বলে দাবি কমিশনারেটের।
সল্টলেকের বাসিন্দাদের বড় অংশ এ দিন লকডাউন মেনে ঘরেই ছিলেন। রাস্তায় লোক বা গাড়ি সে ভাবে নজরে পড়েনি। নিউ টাউন, পাঁচ নম্বর সেক্টরের চেহারা ছিল কার্যত ধর্মঘটের মতো। একমাত্র জরুরি পরিষেবার কারণে কিছু সংখ্যক কর্মী ছাড়া শিল্পতালুকে কারও উপস্থিতি নজরে পড়েনি। লকডাউন-বিধি ভঙ্গের অভিযোগে গোটা কমিশনারেট এলাকা থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত ৭২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৫টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
কমিশনারেট এলাকায় নাকা তল্লাশি, টহল, নজরদারি ছিল চোখে পড়ার মতো। লকডাউন ঠিক মতো হচ্ছে কি না দেখতে ও পুলিশকর্মীদের উৎসাহ দিতে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার মুকেশ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।