বাজেয়াপ্ত হওয়া স্পিরিটের পিপে। মঙ্গলবার, বারাসতের গুদামে। নিজস্ব চিত্র
বাঁশের চালা দেওয়া ঘরে থরে থরে সাজানো নীল রঙের ড্রাম। ভিতরে ভর্তি উচ্চমানের ‘র’ স্পিরিট। বারাসতের প্রত্যন্ত এলাকার এমনই একটি গুদাম থেকে প্রায় ৩৯১০ লিটার ‘র’ স্পিরিট বাজেয়াপ্ত করেছে রাজ্য আবগারি দফতর। স্পিরিট চুরি করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই ব্যক্তিকে। ধৃতদের নাম মফিজুল ইসলাম এবং আরশাদ আলি।
আবগারি দফতর সূত্রের খবর, পুরোটাই বেআইনি ভাবে স্পিরিট বোঝাই বড় ট্রেলার থেকে গোপনে বার করে নেওয়া। রাজ্য আবগারি দফতরের কলকাতার কালেক্টর সুব্রত বিশ্বাস জানিয়েছেন, এই উচ্চ মানের ‘র’ স্পিরিট থেকে প্রায় ৭৫০ লিটারের ১২ হাজার বিদেশি মদের বোতল তৈরি করা যেত। যার বাজার মূল্য এক কোটি টাকারও বেশি।
সুব্রতবাবু জানান, বাজেয়াপ্ত হওয়া এই ‘র’ স্পিরিট মূলত বাংলা-বিহার সীমানায় ডালখোলা চেক পোস্টের কাছ থেকে বেআইনি ভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ এবং পঞ্জাব থেকে এই স্পিরিট ট্রেলারে করে সরবরাহ করা হচ্ছিল শিলিগুড়ি, ভুটানের মদ প্রস্তুতকারী সংস্থায়। অভিযোগ, ডালখোলা থেকেই চোরাকারবারীরা লুকিয়ে স্পিরিট বার করে নেয়।
গত রবিবার কাশীপুর থেকে প্রথমে গ্রেফতার হয় মফিজুল। আবগারি সূত্রের খবর, সরাসরি কারবারের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। তাকে জেরা করেই বারাসতের ওই গুদামের খোঁজ মিলেছে। সুব্রতবাবু জানান, আরশাদ গুদামটির ম্যানেজার ছিলেন। আসল মালিক প্রতি দু’ মাস অন্তর গুদামের ঠিকানা বদলে ফেলে। বারাসতের গুদামটি মাত্র সাত দিন আগে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। সেই মালিকের খোঁজ চলছে।
মফিজুলকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আরশাদকে বারাসত থেকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়।