—প্রতীকী চিত্র।
বর্ষা পুরো দমে আসার আগে পথে নেমে মানুষকে সচেতন করারকাজ শুরু করল দমদম এলাকার তিন পুরসভা। তিন পুর এলাকায় সোমবার সকালে মিছিল করা হয়।মিছিল থেকে নিজের বাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখা, জল জমতে না দেওয়া থেকে শুরু করে একাধিক সতর্কতামূলক বার্তা দেওয়া হয় বাসিন্দাদের। মূলত মশাবাহিত রোগপ্রতিরোধের দিকে নজর রেখেই এই মিছিল করা হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
গত বছর ওই তিন পুর এলাকায়, বিশেষত দক্ষিণ দমদমে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ ভাল রকমই লক্ষ্য করা গিয়েছিল। এমনকি, মৃত্যুর ঘটনাও আটকানো যায়নি। দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় আবার চলতি বছরেই কিছু দিনের জন্যে ডেঙ্গির প্রকোপ দেখাগিয়েছে। তাই চলতি বছরে মশা নিয়ন্ত্রণে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
তবে বাসিন্দাদের দাবি, বাজার এলাকা,নির্মীয়মাণ বাড়ি, জলাশয়, খাল সংলগ্ন এলাকায় জল ও আবর্জনা যাতে না জমে, সে দিকে আরও বেশি করে নজর দেওয়া হোক।পাশাপাশি, দমদম রোডে বাগজোলা খালের উপরে কালভার্ট সংস্কার প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। বর্ষায় সেখানে ফের জল জমারআশঙ্কা রয়েছে বলে বাসিন্দাদের দাবি। তাঁদের আরও অভিযোগ, ফাঁকা জমিতে আবর্জনা ফেলার প্রবণতা, নির্মীয়মাণ বাড়ি বা বহুতল, খাল, জলাশয়ের ধারে বা জলেপ্লাস্টিক, থার্মোকল-সহ নানা আবর্জনা ফেলার মতো সমস্যার সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রয়োজন। শুধুই মিছিল বার করেবাসিন্দাদের এই বিষয়ে সচেতন করা যাবে না বলে অভিযোগ করেন অনেকেই।
এই সব অভিযোগ পুরোপুরি সমর্থন না করলেও দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান,বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব এখনও রয়েছে। মশা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার কাজও চলছে। তবে দমদম রোডে বাগজোলা খাল সংলগ্ন এলাকায় জল জমার আশঙ্কা তিনি একেবারে উড়িয়ে দিতে পারেননি।
উত্তর দমদমে বর্ষার আগে নিকাশি ও রাস্তা পরিকাঠামোর সংস্কার করা হয়েছে। যদিও বেশ কিছু নিচু এলাকায় পুরনো নিকাশি ব্যবস্থা থাকার কারণে জল জমার সমস্যা থাকবে বলেই মনে করছেন বাসিন্দাদের একাংশ। পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, বর্ষার আগে মশা নিয়ন্ত্রণের কাজের গতি আরও বাড়ানো হচ্ছে। সেই সূত্রেই নিচু এলাকাগুলিতে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে।
দমদম পুর এলাকায় এ দিন কুমোরপাড়া থেকে পঞ্চায়েত পুকুরপার্ক এলাকা পর্যন্ত মিছিল হয়। তবে দমদমেও পুরনো নিকাশি ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি, রেললাইন সংলগ্ন খালের অবস্থাও সন্তোষজনক নয়। ফলে জল জমার সমস্যা পুরো মিটবে না বলেই মনে করছেন বাসিন্দাদের একাংশ। দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট জানান, আগের তুলনায় নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। জল যাতে কোথাও জমতে না পারে, সেই দিকেই সর্বাধিক জোর দেওয়া হচ্ছে।