একই দিনে শহরে পৃথক তিনটি পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিন জনের। পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে ইএম বাইপাসে বেপরোয়া একটি লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক পথচারীর। অন্য দিকে, বিটি রোডে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এবং খিদিরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে দুই মোটরবাইক চালকের।
পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুর সওয়া একটা নাগাদ বাবুবাজারের দিক থেকে সত্য ডাক্তার রোড ধরে খিদিরপুরের দিকে আসছিলেন কার্ল মার্কস সরণির বাসিন্দা হেমন্তকুমার মাজি (৪০)। খিদিরপুর ট্রাম ডিপোর কাছে পিছন থেকে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা মারে তাঁর মোটরবাইকে। বৃষ্টিতে রাস্তা ভেজা থাকায় পড়ে যান হেমন্তবাবু। হেলমেট না থাকায় তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা শুরু হলেও সন্ধ্যায় মারা যান হেমন্তবাবু।
এ দিনই দুপুর ১টা নাগাদ বিটি রোডে চুনীবাবুর বাজার এলাকায় একটি বেসরকারি বাসের সঙ্গে রেষারেষি করতে গিয়ে সেই বাসের চাকাতেই পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক বাইক চালকের। মৃত অমিত সাউ (২৯) ওই এলাকারই বাসিন্দা। গ্রেফতার করা হয়েছে বাসের চালককে। পুলিশ জানায়, বিটি রোড ধরে ডানলপ থেকে শ্যামবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন অমিত। একটি বেসরকারি বাসকে ওভারটেক করার জন্য দ্রুত গতিতে মোটরবাইক চালাচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ জেনেছে, গতি বাড়াতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন অমিত। মোটরবাইক নিয়ে ছিটকে পড়েন রাস্তায়। তখনই ওই বাসের চাকায় পিষ্ট হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার করে অমিতকে। আরজিকরে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অমিতের মৃত্যুর খবরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকার মানুষ। তাঁদের দাবি, পুলিশি নজরদারির অভাবেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই অভিযোগে বিকেল পাঁচটা থেকে প্রায় আধ ঘণ্টা বিটি রোড অবরোধ করেন স্থানীয় লোকজন। পরে অবশ্য পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামলায়।
এ দিকে, শনিবার সকাল পৌনে ছ’টা নাগাদ ই এম বাইপাসে পঞ্চান্ন গ্রামের কাছে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক পথচারীর। পুলিশ জানায়, মৃত ভগবানদাস শেঠি (৫০) পূর্ব পঞ্চান্নগ্রামের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, ই এম বাইপাস দিয়ে কসবা থেকে সায়েন্স সিটির দিকে যাচ্ছিল লরিটি। পঞ্চান্নগ্রামের কাছে সেটি ধাক্কা মারে ভগবানদাসকে। রক্তাক্ত অবস্থায় ছিটকে পড়েন ঘটনার পরে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশেরা ন্যাশনাল মেডিক্যালে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তাঁকে। লরি-সহ চালককে আটক করেছে পুলিশ।