কলেজপড়ুয়াদের থেকে উদ্ধার হওয়া মাদক।
মাদক-সহ শহরের তিন কলেজপড়ুয়াকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। ২২, ২৪ এবং ২৯ বছরের ওই তিন ছাত্র ম্যানেজমেন্ট, কম্পিউটার সায়েন্স এবং কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে বেসরকারি কলেজে পড়েন।
কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার আনন্দপুরে হানা দিয়ে প্রথম ছাত্রের হদিস পাওয়া যায়। ২২ বছরের ওই ছাত্রের থেকে ২ গ্রাম এমডিএমএ পাউডার এবং ৩৪টি এলএসডি পেপার পাওয়া যায়। তাঁকে জেরা করে যাদবপুর এলাকা থেকে দ্বিতীয় ছাত্রের সন্ধান মেলে। তাঁর কাছ থেকেও এমডিএমএ পাউডার ও ট্যাবলেট পাওয়া গিয়েছে। আনন্দপুর থেকেই ধরা পড়েন তৃতীয় যুবক। তাঁর কাছে ছিল এমডিএমএ পাউডার।
সম্প্রতি নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো হানা (এনসিবি) দিয়ে শহরের বেশ কয়েক জন কলেজ পড়ুয়াকে ধরে, যাঁরা নিয়মিত নিষিদ্ধ মাদকের নেশা করেন। তাঁদের কেউ কেউ মাদক কেনাবেচার সঙ্গেও যুক্ত। অফিসারদের আশঙ্কা, শহরের বহু কলেজপড়ুয়া নিয়মিত এই ধরনের রাসায়নিক মাদক সেবন করছেন।
অন্য দিকে, মালয়েশিয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরের সামনে থেকে মাদক-সহ দুই যুবককে গ্রেফতার করল ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইনটালিজেন্স (ডিআরআই)। অভিযোগ, তামিলনাড়ুর ওই দুই যুবক কলকাতা থেকে নিষিদ্ধ মেথাকুয়োলন পাউডার কুয়ালালামপুরে পাচার করছিলেন। ডিআরআই সূত্রের খবর, তাঁদের কাছ থেকে ২ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা মূল্যের ৪ কিলোগ্রাম ৭০০ গ্রাম মেথাকুয়োলন পাউডার পাওয়া গিয়েছে। মেথাকুয়োলন ট্যাবলেট ঘুমের ওষুধ এমনকি হিপনোটাইজ করার জন্যও ব্যবহার করা হয়। ইংল্যান্ডে ম্যানড্রেক্স নামে এই ওষুধ গোপনে বিক্রি হয় বলেও জানা গিয়েছে।
ডিআরআই জানিয়েছে, ওই পাউডার একটি বাক্সের ভিতরে লুকিয়ে দিন দুই আগে চেন্নাই থেকে ট্রেনে চেপে হাওড়ায় আসে। দুই যুবকের একজন সেটি হাওড়া থেকে তুলে নেন। মঙ্গলবার সেই বাক্স নিয়ে তিনি কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন। সেখানে অপেক্ষা করছিলেন দ্বিতীয় যুবক। বিমানবন্দরের গেটের বাইরে দুই যুবককে ওই বাক্স সমেত গ্রেফতার করে ডিআরআই। কিন্তু, বাক্স খুলে প্রথমে মহিলাদের পোশাক পাওয়া যায়। পরে দেখা যায়, বাক্সের ভিতরে টেপ দিয়ে আটকানো ৮টি প্লাস্টিকের প্যাকেটের ভিতরে রয়েছে নেশার পাউডার। ওই বাক্স নিয়ে দ্বিতীয় যুবকের বিমানে কুয়ালালামপুর যাওয়ার কথা ছিল বলে ডিআরআই জানিয়েছে।