সল্টলেক গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত তিন জনকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই তিন জনের নাম অর্ণব বেরা, শুভেন্দু নাথ ও সৌরভ দে। অর্ণবের বাড়ি বেলেঘাটা জোড়ামন্দির এলাকায়, শুভেন্দু দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে থাকে এবং সৌরভ তপসিয়ার বাসিন্দা। তিন জনই পেশায় ড্রাইভার। বাকি এক অভিযুক্ত এখনও পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মোবাইল টাওয়ারের সূত্র ধরে এ দিন হাড়োয়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। যে গাড়িটিতে এই নারকীয় ঘটনা ঘটানো হয়েছে সেই টাটা সুমোটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার রাত ১২টা নাগাদ সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে এক তরুণীকে জোর করে গাড়িতে তুলে গণধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ওই তরুণীকে গাড়িতে করে কয়েক ঘণ্টা ধরে শহরের রাস্তায় ঘোরানো হয় বলে অভিযোগ। এর পর ওই তরুণীকে বৈশাখীর মোড়ের কাছে ফেলে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পরে তাঁকে উদ্ধার করে এক ট্যাক্সিচালক। সল্টলেকের মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই নির্যাতিতা। তদন্তে নেমে সোমবার বেশ কয়েক জন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিধাননগর কমিশনারেট। এ ছাড়া, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়।
এই ঘটনার পরই সল্টলেকের মতো জায়গার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, তরুণীকে নিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি ঘোরানো হল অথচ তা কেন পুলিশের নজরে এল না! তবে এ দিন অভিযুক্তদের গ্রেফতারের ফলে কিছুটা হলেও মখরক্ষা হল পুলিশের। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, ঘটনার দিন সৌরভ রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল। সেই সম্ভবত বাকিদের ডেকে আনে। সূত্রের খবর, উদ্ধার করা গাড়ির মধ্যে একটি চানাচুরের প্যাকেট ও পুরনো খবরের কাগজ ছাড়া বিশেষ কিছু পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন
পার্ক স্ট্রিট-কাণ্ডের ছায়া সল্টলেকে, গাড়িতে তুলে গণধর্ষণ তরুণীকে