ফাইল ছবি
বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সভার দিন কলকাতার রাস্তা থেকে বেসরকারি বাস-মিনিবাস কার্যত উধাও হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দু’বছর পরে এ বার ধর্মতলায় পুরনো রীতি মেনে সভা করছে শাসকদল। সমাবেশে লোক আনতে কলকাতা ছাড়াও দুই ২৪ পরগনা এবং হাওড়ায় অধিকাংশ রুটে প্রায় ১০০ শতাংশ বেসরকারি বাস ভাড়া নেওয়া হয়েছে। বাসমালিক সংগঠনের নেতৃত্ব জানাচ্ছেন, বুধবার বিকেল থেকেই বহু রুটের বাস ট্রিপ সম্পূর্ণ করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে অপেক্ষায় থেকেছে।
গত দু’দিন ধরে উত্তরবঙ্গ থেকে ট্রেনে কলকাতা স্টেশনে পৌঁছেছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁদের স্টেশন থেকে আনার জন্য লেক টাউন-ঢাকুরিয়া ও নাগেরবাজার-হাওড়া রুটের বহু বাস নেওয়া হয়েছে। প্রায় সব বাস নেওয়া হয়েছে উত্তর শহরতলির কামারহাটি, দক্ষিণেশ্বর, ব্যারাকপুর, মধ্যমগ্রাম, নাগেরবাজার এলাকার বিভিন্ন রুটের। রাজারহাট, নিউ টাউন, বাগুইআটির বিভিন্ন রুট কার্যত বাস-শূন্য। দক্ষিণেও বেহালা, আমতলা, জোকা, সোনারপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার প্রায় সব রুটের বাস নেওয়া হয়েছে। একমাত্র মিনিবাস নেওয়া হয়েছে কম। ‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’-এর সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘‘বাসমালিকদের তেল এবং ভাড়ার টাকা অগ্রিম দিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজারহাট-নিউ টাউন রুটে কার্যত কোনও বাস নেই।’’
অন্য বছর একুশের সমাবেশে হাওড়া, শিয়ালদহ, মৌলালি, ধর্মতলা, রবীন্দ্র সদন, পার্ক সার্কাস চত্বরে ভিড়ের কারণে কার্যত বাস চলে না। তবে বাইপাস, সেক্টর ফাইভ এলাকায় কিছু বাস চলতে দেখা যেত। এ বার সেখানেও বেসরকারি বাসের দেখা না মেলারই আশঙ্কা। সরকারি বাস নিয়ে নিগমগুলির তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে বাসচালক এবং কন্ডাক্টরদের বড় অংশ সমাবেশে যোগ দিতে পারেন। যার জন্য সরকারি বাস বা ট্রাম, সবই ডিপোবন্দি হয়ে থাকতে পারে। ‘জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটস’-এর সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও ‘মিনিবাস অপারেটর্স কোঅর্ডিনেশন কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক স্বপন ঘোষ জানান, যান নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ থাকায় বাস প্রায় থাকবে না বলেই মনে করছেন।
অন্য দিকে, অটোও থাকতে পারে হাতেগোনা। ফলে মেট্রো স্টেশনে পৌঁছতে সমস্যায় পড়তে পারেন যাত্রীরা। মেট্রোয় পরিষেবা সপ্তাহের অন্য দিনের মতোই থাকবে। তবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে শতাধিক আরপিএফ কর্মী এবং কুইক রেসপন্স টিম থাকবে। যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে হাওড়া এবং শিয়ালদহ শাখায় লোকাল ট্রেন বাড়ানো হতে পারে।