ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সিপিএমকে সভা করার অনুমতি দিল না পুলিশ। ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের সভার পরে সিপিএম নেতা গৌতম দেব ঘোষণা করেন, ৬ ডিসেম্বর তাঁরাও সেখানে সভা করবেন। সেই মতো শুক্রবার নেপালদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল কলকাতার পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের সঙ্গে দেখা করে ধর্মতলায় সভা করার আবেদন জানান। কিন্তু পুলিশ কমিশনার সেই আবেদন নাকচ করেন। তাঁর যুক্তি, ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ ছাড়া অন্য কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয় না।
ক্ষুব্ধ নেপালবাবু বলেন, “পুলিশ কমিশনার বলেছেন, বছরে এক দিন শুধু তৃণমূলকেই ওখানে সভা করতে দেওয়া হবে। অন্য কোনও দলকে ওখানে সভার অনুমতি দেওয়া হবে না।” নেপালবাবুর দাবি, এই সিদ্ধান্তের যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা সিপি দিতে পারেননি। তিনি জানান, সিপি সিপিএম নেতৃত্বকে সভা করার জন্য বিকল্প জায়গা দেখতে বলেছেন। তাঁরা এখনই তা দেখতে নারাজ। নেপালবাবুর প্রশ্ন, “তৃণমূল সভা করতে পারলে আমরা কেন পারব না?” পুলিশ কমিশনার জানান, ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে শুধু তৃণমূল সভা করবে, অন্য কোনও দলকে সভার অনুমতি দেওয়া হবে না, এ রকম কথা তিনি সিপিএমের প্রতিনিধিদলকে বলেননি। পুলিশ কমিশনারের কথায়, “আমি বলেছি, বিশেষ দিন হিসেবে, বিশেষ কারণে কেবল ২১ জুলাই তৃণমূলকে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করার বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়। এটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। অন্য কোনও দিন কোনও রাজনৈতিক দলকেই ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করার অনুমতি দেওয়া হয় না।” পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, “কোনও দলকে মেট্রো চ্যানেলেও সভা করার অনুমতি দেওয়া হয় না।”
সিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গে পুলিশের বৈঠকে যুগ্ম কমিশনার (সদর) রাজীব মিশ্রও ছিলেন। তিনিও পরে বলেন, “ভিক্টোরিয়া হাউসের পাশে কোনও সভা-সমাবেশ হয় না। একমাত্র ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ বরাবরই ওখানে হয়ে আসছে।” ২০১২ সালেও ধর্মতলায় সভা করার দাবি তুলেও শেষ পর্যন্ত পুলিশের আপত্তিতে সিপিএমকে সভা করতে হয়েছিল রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে। সে বারের মতো এ বার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে সভা করার ক্ষেত্রে ‘বাস্তব অসুবিধা’ আছে জানিয়ে নেপালবাবু বলেন, “৬ ডিসেম্বর দিনটি ভীষণ স্পর্শকাতর। মুসলিম সংগঠন ওই দিন রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে সভা করে। ফলে সে দিন ওখানে আমাদের সভা করা সম্ভব নয়।”