—প্রতীকী চিত্র।
একটি সংস্থার স্বাস্থ্য বিমা নবীকরণের নামে এক ব্যক্তিকে ফোন করে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ধাপে ধাপে ৩৩ লক্ষেরও বেশি টাকা নিয়েছিল প্রতারকেরা। তদন্তে নেমে নিউ টাউন থেকে দুই যুবককে গ্রেফতার করল হাওড়া সিটি পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের সাইবার অপরাধ শাখা। উদ্ধার হল অভিযোগকারীর তিন লক্ষ ১৭ হাজার টাকা। পুলিশ জানিয়েছে, এমন ঘটনায় ১৯৩০ নম্বরে ফোন করলে জালিয়াতি হওয়া টাকা দ্রুত ফেরত পাওয়ার সুযোগ থাকবে। এই সংক্রান্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে সরাসরি তদন্তে নামবে রাজ্য পুলিশের সাইবার অপরাধ শাখা।
পুলিশ জানায়, হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানা এলাকার ভোলানাথ নন্দী লেনের বাসিন্দা মানসকুমার দাসের কাছে নভেম্বর মাসে একটি ফোন আসে। মানসের যে সংস্থার স্বাস্থ্য বিমা রয়েছে, তার নাম করে বলা হয়, অতিরিক্ত টাকা দিলে আরও বড় অঙ্কের স্বাস্থ্য বিমা করে দেওয়া হবে নবীকরণের সময়ে। তা বিশ্বাস করে সেই সংস্থার নামে তিন মাসে মানস অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক দফায় ৩৩ লক্ষ ৩ হাজার ৭৮৬ টাকা দেন। পরে বুঝতে পারেন, প্রতারিত হয়েছেন। চ্যাটার্জিহাট থানা ও হাওড়া সিটি পুলিশের সাইবার অপরাধ শাখায় অভিযোগ করেন মানস। পুলিশ তদন্তে নেমে শুক্রবার ওড়িশার বাসিন্দা সুশীলকুমার জানা ও প্রণবপ্রকাশ ভোই নামে দুই যুবককে নিউ টাউন থেকে ধরে। তাদের থেকে ১৩টি এটিএম কার্ড, ৩৮টি সিম কার্ড, চারটি মোবাইল, নগদ তিন লক্ষ ১৭ হাজার টাকা ও দু’টি দামি গাড়ি উদ্ধার হয়েছে। ওই দুই যুবক জামতাড়ার দুষ্কৃতীদের কায়দায় কোনও অপরাধ-চক্র চালাত কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
এ দিন রাজ্য পুলিশের সাইবার অপরাধ শাখার ডিআইজি (২) অঞ্জলি সিংহ বলেন, ‘‘এই ধরনের সাইবার অপরাধ ঘটলে রাজ্য পুলিশের সাইবার শাখার নম্বর ১৯৩০-এ ফোন করতে পারেন। তা হলে টাকার প্রাপকের অ্যাকাউন্ট সিজ় করা হবে। সেই টাকা ফেরতও পাবেন।’’ তিনি জানান, এই অপরাধ রুখতে জানুয়ারি থেকে রাজ্য পুলিশের সাইবার অপরাধের এই শাখাটি চালু হয়েছে।