মেরে ফেলা হয় এই সাপগুলিকেই। নিজস্ব চিত্র
বছর শুরু হতে না হতেই ফের মানুষের হাতে মৃত্যু হল ১৩টি কালাচ সাপের। ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেগঙ্গা থানার আজিজনগরে। ঘটনার পরে ফের ওই এলাকায় বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় প্রচার করার কথা জানিয়েছে বন দফতর।
গত বছরেই কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৬টি কুকরছানার দেহ উদ্ধার হয়। হাসপাতালের নার্সিং বিভাগের কর্মীরা সেই কুকুরছানাগুলিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন পশুপ্রেমীরা।
বন দফতর জানাচ্ছে, হাদিপুর সংলগ্ন আজিজনগর এলাকায় একটি পুরনো কাছারিবাড়ি বিক্রির পরে এ দিন জমিতে মাপজোকের কাজ চলছিল। একটি পুরনো দেওয়াল ভাঙার পরে সেটির ইট সরাতেই দেখা যায় ১৩টি সাপ কুণ্ডলি পাকিয়ে রয়েছে। বিষধর কালাচ সাপ চিনতে পেরেই ভয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন। কর্মরত শ্রমিক ও এলাকার মানুষই ছুটে এসে লাঠি, শাবল গিয়ে সাপগুলিকে মেরে ফেলেন।
ঘটনার প্রতিবাদ করেন স্থানীয়দের অনেকে। খবর যায় বন দফতরেও। স্থানীয়েরা জানান, সাপের ছোবলে সেখানে আগেও মৃত্যু হয়েছে। মাস খানেক আগেই সাপের ছোবলে হাদিপুরে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়। বনদফতরের বারাসতের রেঞ্জ অফিসার সুকুমার দাস এ দিন বলেন, ‘‘আতঙ্কেই স্থানীয়েরা ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন।’’