প্রতীকী ছবি।
সময়ে হাজির না হওয়ায় তাঁদের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেননি জঞ্জাল অপসারণ দফতরের এক আধিকারিক। এই অভিযোগে কালীঘাট মন্দিরের কাছে জঞ্জাল অপসারণের দফতরের অফিসে মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখালেন ১০০ দিনের কাজে নিযুক্ত একদল কর্মী। তাঁদের প্রশ্ন, কেন তাঁদের সই করতে দেওয়া হবে না। অভিযোগ, এক সময়ে সংশ্লিষ্ট অফিসারকে তালা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেখানো হয়। ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় হাজিরা খাতাও। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
পুরসভার এক পদস্থ অফিসার জানান, গড়িয়া থেকে খিদিরপুর পর্যন্ত টালি নালায় আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য ওই ১০০ দিনের কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে। পুর প্রশাসনের কড়া নির্দেশ রয়েছে, ওই এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসস্থান। তাই সব সময় যাতে টালি নালা পরিষ্কার থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। অভিযোগ সেই কাজে ঢিলেমি হচ্ছে। তার প্রধান কারণ ১০০ দিনের বেশ কিছু কর্মী সময়ে হাজির হন না। কিন্তু হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন।
ওই অফিসের এক আধিকারিক জানান, সম্প্রতি পুর প্রশাসন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, সময়ে হাজির না থাকলে স্বাক্ষর করতে দেওয়া হবে না। সেই নিয়ম প্রয়োগ করতে গিয়েই এ দিন সমস্যায় পড়েন কর্তব্যরত কনজারভেন্সি অফিসার (সিও)। তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানাতে থাকেন কর্মীরা। এমনকি, হাজিরা খাতাও ছেঁড়া হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে কালীঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ সূত্রের খবর, পুরবোর্ড তৃণমূলের। আবার যে কর্মীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তাঁরাও তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য। পরে থানায় দু’পক্ষকে ডেকে বিষয়টা মিটিয়ে নেওয়া হয় বলে পুরসভা সূত্রের খবর।