তথ্য এবং পরিসংখ্যান বলছে, মেয়েদের বিরুদ্ধে হওয়া নারীঘটিত অপরাধের সংখ্যাতেও দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরুর থেকে নিরাপদ কলকাতা শহর। ফাইল চিত্র।
অপরাধের নিরিখে দেশের অন্যান্য মেট্রো শহর গুলির মধ্যে ‘নিরাপদতম’ কলকাতা। কেন্দ্রীয় সংস্থার দেওয়া রিপোর্টেই এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টে এ-ও বলা হয়েছে যে, গত তিন বছরে নিয়মিত হারে অপরাধের সংখ্যা কমেছে বাংলার রাজধানীতে। এমনকি, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনাতেও দিল্লি, বেঙ্গালুরু, মুম্বইয়ের মতো শহরগুলির থেকে বেশি নিরাপদ কলকাতা।
মঙ্গলবার জাতীয় ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি) গত এক বছরের অপরাধের একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। ‘ক্রাইম ইন ইন্ডিয়া, ২০২০’ শীর্ষক সেই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, মোট অপরাধের সংখ্যা দেশের অন্যান্য মেট্রোশহরগুলির থেকে কলকতায় অনেকটাই কম। এনসিআরবি-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২০ সালে প্রত্যেক লক্ষ জনসংখ্যায় কলকাতায় মোট অপরাধের হার ১২৯.৫। যেখানে চেন্নাইয়ে অপরাধের হার ১৯৩৭.১, দিল্লিতে ১৬০৮.৬, আমদাবাদে ১৩০০, বেঙ্গালুরুতে ৪০১.৯ এবং মুম্বইয়ে ৩১৮.৬।
গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ
গত দু’বছরের তুলনায় সামগ্রিক ভাবে নথিভুক্ত অপরাধের সংখ্যাও কমেছে কলকাতায়। ২০১৮ সালে কলকাতায় অপরাধের সংখ্যা ছিল ১৯,৬৮২। ২০১৯-এ সেই সংখ্যা কমে হয়েছিল ১৭,৩২৪। তার পর ২০২০ সালে শহরে মোট অপরাধের সংখ্যা আরও কমে হয়েছে ১৫,৫১৭। যেখানে মুম্বইয়ে গত এক বছরে অপরাধের সংখ্যা ৫০,১৫৮, দিল্লিতে ২,৪৫,৮৪৪। চেন্নাইয়ে নথিভুক্ত অপরাধের সংখ্যা ৮৮,৩৮৮। গুজরাতের আমদাবাদে নথিভুক্ত অপরাধের সংখ্যা ৬১,৩৯৫।
তথ্য এবং পরিসংখ্যান বলছে, মেয়েদের বিরুদ্ধে হওয়া নারীঘটিত অপরাধের সংখ্যাতেও দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরুর থেকে নিরাপদ কলকাতা শহর। গত এক বছরে কলকাতায় মেয়েদের বিরুদ্ধে অপরাধের সংখ্যা ২,০০১। বেঙ্গালুরুতে সেই সংখ্যা ২,৭৩০। দেশের রাজধানী দিল্লিতে ৯,৭৮২। প্রসঙ্গত, দিল্লির আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ভার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতে। দেশের বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে নথিভুক্ত অপরাধের সংখ্যা ৪,৫৮৩টি। ধর্ষণ এবং পণ না দেওয়ায় মৃত্যুর ঘটনাতেও দিল্লি, বেঙ্গালুরু এবং মুম্বইয়ের থেকে পিছিয়ে রয়েছে কলকাতা।