মৈত্রী এক্সপ্রেস। — ফাইল চিত্র।
১৬ জুলাই শেষ বার গড়িয়েছিল ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস। কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠার পর থেকেই এই এক্সপ্রেসের যাত্রা পুরোপুরি বন্ধ রেখেছে ভারতীয় রেল। মৈত্রী এক্সপ্রেস না কলকাতা থেকে ছাড়ছে, না ঢাকা থেকে। রেল জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে বার্তা পেয়েই এই ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ জুলাই মঙ্গলবারও মৈত্রী এক্সপ্রেস না চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় রেল জানিয়েছে, আগামী ৩০ তারিখ মঙ্গলবার কলকাতা এবং ঢাকা থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের থেকে বার্তা পেয়েই ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত। তবে কবে আবার দু’দেশের মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস চলবে তা নিশ্চিত করে জানাচ্ছে না রেল।
অনেকেই চিকিৎসা বা অন্যান্য কারণে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসেন। আবার অনেকে কলকাতা থেকে ঢাকাতেও যান। বিমান ছাড়া সেই সব মানুষের কাছে অন্যতম ভরসা মৈত্রী এক্সপ্রেস। ভারতীয় রেল জানিয়েছে, যে সব যাত্রী ৩০ জুলাই মৈত্রী এক্সপ্রেসে ভ্রমণের জন্য টিকিট কেটেছিলেন তাঁরা টাকা ফেরত পাবেন। তবে টিকিটের দাম ফেরতের জন্য কলকাতায় বিশেষ টিকিট কাউন্টার খোলা হয়েছে। কিন্তু কোনও যাত্রী টিকিট হারিয়ে ফেললে টাকা ফেরত পাবেন না। বিদেশি যাত্রীদের প্যাসেঞ্জার রিজ়ার্ভেশন সিস্টেম (পিআরএস)-এর কাজের সময় টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভের আগুন। দলে দলে ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় নামেন। পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। এই সংঘর্ষে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত আরও অনেকে। চাকরি থেকে জনজাতিদের জন্য সংরক্ষণ বাদ দিয়ে বাকি সমস্ত কোটা তুলে দেওয়ার দাবি জোরালো হয়। তার মধ্যেই সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট গত ২১ জুলাই সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সাত শতাংশ সংরক্ষণ রেখে বাকি সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার পক্ষে রায় দেয়। এতে আন্দোলনের আঁচ খানিক কমলেও এখনও পুরোনো ছন্দে ফেরেনি বাংলাদেশ। কার্ফু শিথিল হয়েছে। ঢাকার মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে দূরপাল্লার ট্রেন এখনই চলছে না। স্বল্প দূরত্বে যাত্রিবাহী ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।