কলকাতা জেলা সিপিএমের সম্পাদক কল্লোল মজুমদার। নিজস্ব চিত্র।
বয়স-নীতি এবং ‘যান্ত্রিক ভাবে’ নেতাদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে সম্মেলনেই প্রশ্ন উঠেছিল। দলের অন্দরে আপত্তি সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত কলকাতার পরিচিত কিছু নেতাকে কমিটি থেকে অব্যাহতি দিল সিপিএম। তবে গোলমাল এড়াতে নতুন জেলা কমিটিতে তাঁদের জায়গা রেখে দেওয়া হল ‘আমন্ত্রিত সদস্য’ হিসেবে। যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায়ের।
কলকাতা জেলা সিপিএমের ২৫তম সম্মেলন থেকে জেলা সম্পাদক পদে ফের নির্বাচত হলেন কল্লোল মজুমদারই। প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে শনিবার সম্মেলনের শেষ দিন আলোচনা-বিতর্ক গড়িয়েছে রাত পর্যন্ত। তার পরে যে ৬৫ জনের নতুন জেলা কমিটি তৈরি হয়েছ, সেখানে নতুন মুখ ১৩ জন। অর্জুন রায়, সাগ্নিক সেনগুপ্তের মতো কলকাতার উল্লেখযোগ্য ছাত্র-যুব নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে জেলা কমিটিতে। বয়স ও শরীর সংক্রান্ত সক্রিয়তার অভাবের কারণে যাঁরা কমিটি থেকে বাদ গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন প্রাক্তন মন্ত্রী মানব, কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ দীপঙ্কর দে, প্রাক্তন কাউন্সিলর কেষ্ট সরকার, রতন ভট্টাচার্য। তাঁদের অবশ্য আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছে। দলে নানা মত থাকলেও কমিটি বাছাই ঘিরে ভোটাভুটি হয়নি। কলকাতায় আরও ‘সক্রিয়’ সংগঠন গড়ে তোলা এবং আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শেষ হয়েছে এ বারের জেলা সম্মেলন। দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সম্মেলনের শেষ দিনে বলেছেন, ‘‘একটা বয়সের পরে সকলকেই সরে যেতে হয়।’’ আর জেলা সম্পাদক জবাবি বক্তৃতায় উল্লেখ করেছেন, শুধু জোট না করার কারণেই পুরভোটে আগের চেয়ে ভাল ফল হয়েছে, এই সরলীকরণ উচিত নয়। লাগাতার কর্মসূচির ফল মিলেছে। আর দল জোট করেছিল তৃণমূল ও বিজেপি-বিরোধী ভোটকে একত্রিত করার লক্ষ্যেই।