আইআইটি খড়্গপুর।—ফাইল চিত্র।
শিক্ষক দিবসে ‘ইনস্টিটিউশন অব এমিনেন্স (আইওই)’ সম্মান পেল আইআইটি খড়্গপুর। আজ মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এ কথা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারী ও পড়ুয়াদের মধ্যে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুশির হাওয়া আইআইটি চত্বরে।
আইআইটি খড়্গপুর ছাড়াও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইআইটি মাদ্রাজকেও ‘আইওই’ সম্মান দিয়েছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। গত মাসে ‘ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন’ (ইউজিসি)-এর পক্ষ থেকে ওই পাঁচটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। তারই ভিত্তিতে আজ এই ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক আজ নামগুলি ঘোষণা করেন।
আইআইটি খড়্গপুর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস সাতেক আগে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই সম্মান জানানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এর পরে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বেঁধে দেওয়া হয় মাপকাঠিও। সেই অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আইআইটি খড়্গপুরও আবেদন জমা দিয়েছিল। তাতে অন্তত ৪০টি প্রতিষ্ঠানের ৫ জন করে প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠায় মন্ত্রক। প্রতিষ্ঠানগুলি নিজেদের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে সেখানে। খড়্গপুর আইআইটির রেজিস্ট্রার তথা মানবসম্পদ বিভাগের ডিন ভৃগুনাথ সিংহ বলেন, “এই সম্মান পেয়ে আমরা গর্বিত। এতে প্রতি পাঁচ বছরে আমরা এক হাজার কোটি টাকা অনুদান পাব। যা দিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে আরও এগিয়ে যাব। সেই সঙ্গে গবেষণা, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষক, বিদেশি পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করছি আমরা।”