আম ভোজনে রেজ্জাকের ভিটেয় কান্তি ও সুজন

সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার বাড়িতে গিয়ে আম খেলেন বামফ্রন্ট নেতারা! ক্যানিংয়ের জীবনতলা থানা এলাকায় বাইকের ধাক্কায় এক ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার পরিজনদের সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী, প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়-সহ একাধিক বাম নেতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৫ ০৩:৪১
Share:

মোটর বাইকের ধাক্কায় মৃত কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন সুজন চক্রবর্তী, রেজ্জাক মোল্লা ও কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র।

সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার বাড়িতে গিয়ে আম খেলেন বামফ্রন্ট নেতারা!

Advertisement

ক্যানিংয়ের জীবনতলা থানা এলাকায় বাইকের ধাক্কায় এক ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার পরিজনদের সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী, প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়-সহ একাধিক বাম নেতা। সেই অবসরেই রেজ্জাকের বাড়িতে গিয়ে পুরনো সম্পর্ক ঝালিয়ে নিয়েছেন কান্তিবাবুরা!

সিপিএম সূত্রের খবর, মৃত সুপর্ণা মণ্ডলের দাদু ভোলানাথ নস্কর ক্যানিং ও ভাঙড় এলাকায় অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। মানবিক কারণেই বাম নেতারা এ দিন ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন। সুপর্ণার মা ও পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন বাম নেতারা। সেখানে যাওয়ার আগেই ক্যানিং-ভাঙড়ের আর এক ভূমিপুত্র রেজ্জাককে ফোন করেছিলেন সুজনবাবু। তাঁর যুক্তি, ‘‘আমাদের দলে না থাকলেও রেজ্জাকদাই ওই এলাকার বিধায়ক। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে যেতে চেয়েছি। এর মধ্যে অন্য কোনও অর্থ খোঁজার চেষ্টা অর্থহীন!’’ দল থেকে বহিষ্কৃত হলেও সিপিএমের বহু নেতার সঙ্গেই রেজ্জাকের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাল। দীর্ঘদিনের সম্পর্কের সুবাদেই বিধানসভায় বামফ্রন্টের ঘরে এখনও মাঝেমধ্যেই আড্ডা দিতে দেখা যায় রেজ্জাককে। ক্যানিংয়ে এ দিনের আম-পর্বের প্রেক্ষিতে সুজনবাবুর মতো রেজ্জাকেরও মন্তব্য, ‘‘আমি ভবঘুরে মানুষ। সবাই বন্ধু। এতে রাজনীতির কিছু নেই।’’

Advertisement

মোক্তারপুর এলাকায় সুপর্ণার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই বাঁকরি এলাকায় রেজ্জাকের বাড়ি। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ রেজ্জাকের বাড়িতে গিয়েই ওঠেন বাম নেতারা। প্রাতরাশ সেরে তাঁরা যান সুপর্ণার বাড়িতে। সেখান থেকে বেরোনোর সময় কান্তিবাবু রেজ্জাককে বলেন, তাঁর এলাকায় এসেছেন সবাই। রেজ্জাক আম খাওয়াবেন না? সঙ্গে সঙ্গেই অনুরোধ মেনে সবাইকে ফের নিজের বাড়ি নিয়ে গিয়ে আম-ভোজন করান রেজ্জাক। সিপিএমের একাংশে অবশ্য গুঞ্জন, রেজ্জাকের বহিষ্কারের পরে ক্যানিং-ভাঙড় এলাকায় দলের গ্রহণযোগ্য তেমন কোনও নেতা উঠে না আসার বাস্তবতা বুঝেই কি এমন আম-কূটনীতি?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement