—ফাইল চিত্র
ক্ষমতা ভোগের লালসাতেই শুভেন্দু অধিকারী এত দিন ‘চুপ’ করে ছিলেন— মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুললেন তৃণমূল সাংসদ কল্যণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু এ দিন পূর্বস্থলীতে এক দলীয় সভায় শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে ফের সরব হয়ে কয়লা পাচার, গরু পাচার ইত্যাদির অভিযোগ আনেন। তার জবাবে কল্যাণবাবুর বক্তব্য, ‘‘শুভেন্দু ২০১৬ থেকে রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। তার আগেও দু’বার দলের টিকিটে লোকসভা ভোটে জিতেছিলেন। তা হলে এত দিন মুখ বুজে থেকে হঠাৎ চৈতন্যোদয়ের কারণ কী? যদি তাঁর এতই অভিযোগ তবে শেষ বিন্দু পর্যন্ত ক্ষমতা ভোগ করে গেলেন কেন?’’
কল্যাণবাবু বলেন, ‘‘তৃণমূল তৈরি হওয়ার আদি পর্বে শুভেন্দু এই দলে আসেননি। কংগ্রেস থেকে পরে এসেছেন।’’ কল্যাণবাবুর আরও বক্তব্য, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতির বিচার করছেন শুভেন্দু! রাজ্যের মানুষ এই প্রহসন দেখে মজা পাচ্ছে। বলছে, আরশোলা পাখি হতে চায়।’’ তাঁর মতে, ‘‘এই বাস্তব বুঝে শুভেন্দু এখন ভোটের লড়াই থেকে মুখ লুকিয়ে পালাতে চাইছেন।’’
সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে ইঙ্গিত করে ‘তোলাবাজ ভাইপো’ বলে যে কথা বলছেন, তার সমালোচনা করে তৃণমূলের আর এক বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘এটা তো অদ্ভুত কথা। শুভেন্দুর সঙ্গে আমার শেষ বারের বৈঠকে অভিষেক ছিল। সেখানে উপস্থিত অভিষেকের হাত ধরে শুভেন্দু বলেছিল, ‘তোমার বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই। এখন এ সব কথা কেন বলছে! শুভেন্দু যে এত নীচে নামতে পারে, ভাবতে পারি না।’’