শান্তনুকে চেকে টাকা দেন বলে দাবি করেন ‘কালীঘাটের কাকু’। — ফাইল চিত্র।
নিয়োগকাণ্ডে জেলবন্দি তৃণমূলের যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার নির্মাণ সংস্থায় বিনিয়োগের কথা মেনে নিলেন কালীঘাটের কাকু (সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র)। শুক্রবার আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘‘শান্তনু আমাকে বলেছিল, ‘আমরা একটি জায়গা ডেভেলপ করছি, যদি আপনি নেন…’। ওদের প্রস্তাবে আমি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে ১,২০০ বর্গফুটের প্লট কিনেছিলাম ব্যবসার উদ্দেশে। ধাবা বা রেস্তরাঁ করার উদ্দেশ্য ছিল আমার।’’
প্রিয়াঙ্কার নির্মাণ সংস্থার ব্যালান্স শিটের তথ্য বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে এসেছিল। তাতে দেখা যায়, হুগলির চন্দননগরের সত্যপীর তলায় বহুতল নির্মাণ করছে ওই নির্মাণ সংস্থা। যার অন্যতম অংশীদার শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা। ২০২০ সালে ওই নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে চন্দননগরের জিটি রোডের পাশে প্রায় ৬ কাঠা জমির উপর বহুতল নির্মাণের চুক্তি হয়। বহুতলের নকশা দিয়ে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়, শুরু হয় বুকিং। তাতে দেখা যাচ্ছে, ৪০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন ‘কালীঘাটের কাকু’।
এটা কি কালো টাকা সাদা করার ছক?
কালীঘাটের কাকুর জবাব, ‘‘না, আমি চেকে টাকা দিয়েছিলাম। দুর্নীতির সঙ্গে কোনও যোগ নেই। কালো টাকা সাদা করতে চাইলে তো নগদে দিতাম।’’
প্রিয়াঙ্কার ওই নির্মাণ সংস্থার ব্যালান্স শিটে দেখা যাচ্ছে, শান্তনুকে ১০ লক্ষ এবং প্রিয়াঙ্কার ছেলের নামে থাকা সংস্থা ইভান কনট্রেডকে ২০ লক্ষ করে দু’বারে ৪০ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। আনন্দবাজার অনলাইন সেই ব্যালেন্স শিটের সত্যতা যাচাই করেনি। নির্মাণ সংস্থার অন্যতম অংশীদার ইন্দ্রনীল চৌধুরী জানিয়েছিলেন, তাঁদের তিন জনের বিনিয়োগ রয়েছে সত্যপির তলার প্রকল্পে। সুজয়কৃষ্ণ ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র বিনিয়োগ প্রসঙ্গে ইন্দ্রনীল বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, দোকান নেবেন বলে তিনি অগ্রিম দিয়েছিলেন ৪০ লক্ষ টাকা। সমস্ত তথ্যই ইডিকে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি ইন্দ্রনীলের।