জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। —ফাইল চিত্র।
ছবিটা এ বার বদলে গেল!
২০১১ সালে বিধানসভা ভোটের পর থেকে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমায় তৃণমূলের যে কোনও কর্মসূচিতে অন্যদের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ছবিও দেখা যেত। কিন্তু বুধবার তৃণমূলের বাগদা পূর্ব ব্লকের বিজয়া সম্মেলনের ব্যানার ও ফ্লেক্সে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়ের ছবি দেখা গেল না। পরিবর্তে দেখা গেল তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের ছবি।
রেশন দুর্নীতি মামলায় বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার ঠিক পরেই তাঁর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল দল। কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনার যে অংশে কিছু দিন আগে পর্যন্তও জ্যোতিপ্রিয়ের প্রভাব ছিল প্রশ্নাতীত, সেখানে দলীয় কর্মসূচিতে তাঁর ছবি না-থাকায় প্রশ্ন উঠছে, দল কি এ বার তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছে?
বাগদায় এ দিনের বিজয়া সম্মেলনে মমতা ঠাকুরদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বজিৎও। জ্যোতিপ্রিয়ের ছবি না থাকা নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দলের নির্দেশই আছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কারও ছবি ব্যবহার করা যাবে না।’’ তা হলে তাঁর ছবি ছিল কেন? বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘স্থানীয় বিধায়ক হিসাবে কর্মীরা হয়তো আমার ছবি দিয়েছিলেন।’’ সম্মেলনে বেশির ভাগ নেতানেত্রী জ্যোতিপ্রিয় প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। বিশ্বজিৎ শুধু বলেন, ‘‘দিল্লিতে আমরা গরিব মানুষদের ঘরের টাকা, একশো দিনের কাজ প্রকল্পের বকেয়া টাকার দাবিতে আন্দোলন করেছিলাম। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে বিজেপি বালুদাকে (জ্যোতিপ্রিয়ের ডাক নাম) মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করে মানুষের নজরকে ঘোরাতে চাইছে। দল বালুদার পাশে আছে।’’
তবে, রাজনৈতিক মহলের মতে, মুখে নেতারা পাশে থাকার কথা বললেও ধীরে ধীরে দল দূরত্ব বাড়াচ্ছে কি না, তা আগামী দিনে স্পষ্ট হবে।