বিচারপতি অমৃতা সিংহ। — ফাইল চিত্র।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট এবং তার গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। সেই কারণ দেখিয়ে পুনর্নির্বাচনের আবেদনও জমা পড়ে কলকাতা হাই কোর্টে। শনিবার সেই মামলায় একে একে বালির জগাছা, ঠাকুরপুকুর-মেটিয়াবুরুজ ব্লকের চারটি এবং বেরাবেরির একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে পুনর্নির্বাচনের আবেদন খারিজ করে দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। জগাছার ভিডিয়ো দেখে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কিছু একটা হয়েছে। তবে তা কতটা বিশ্বাসযোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
হাওড়ার জগাছায় পঞ্চায়েত ভোটের গণনার দিন ব্যালট নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে পুনর্নির্বাচনের আবেদন করেছিলেন সিপিএম প্রার্থী দেবপ্রসাদ ভৌমিক। শনিবার যদিও পুনর্নির্বাচনের সেই আর্জি খারিজ করলেন বিচারপতি সিংহ। তবে পুলিশ ওই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করতে পারবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনের মামলায় শনিবার নিয়ে প্রায় ১৮টি ভিডিয়ো খতিয়ে দেখেন বিচারপতি সিংহ। এর পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘লুকিয়ে কিছু একটা হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু তার বেশি কিছু নয়। ব্যালট নিয়ে চলে গিয়েছেন কেউ, এটা এখানে দেখা যাচ্ছে না। ফলে কতটা বিশ্বাসযোগ্য, প্রশ্ন উঠছে। পুনর্নির্বাচনের মতো অবস্থা কি না সেটা দেখতে হবে।’’ তবে মামলাকারীরা চাইলে ইলেকশন পিটিশন করতে পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঠাকুরপুকুর-মেটিয়াবুরুজ ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোট এবং গণনার দিন সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলে কংগ্রেস। জোকার ব্রতচারী বিদ্যাশ্রম গণনা কেন্দ্র থেকে জোর করে এজেন্টদের বার করে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। এ ক্ষেত্রেও পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দেননি বিচারপতি সিংহ।
অন্য দিকে, বেরাবেরিতে ১৩ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিংহ। তিনি জানিয়েছেন, ফের নির্বাচন কমিশনকে দেখতে হবে ওই কেন্দ্রে কী হয়েছিল। এ বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।