শীর্ষ আদালতের রায়ে চাকরি রক্ষা বিচারকের

২০০৭ সালে তৎকালীন রেলওয়ে ম্যাজিস্ট্রেট (শিয়ালদহ) মিন্টু মল্লিক ট্রেন সময়মতো না-চলার অভিযোগে চালক ও গার্ডকে তলব করে রিপোর্ট চান।

Advertisement

শমীক ঘোষ ও শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:২০
Share:

প্রতীকী ছবি।

চাকরি বাঁচানোর লড়াইয়ে শীর্ষ আদালতেও জিতলেন এক বিচারক। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁকে চাকরিতে বহাল করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় হাইকোর্টের প্রশাসনিক বিভাগ। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চ সম্প্রতি সেই মামলায় হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছে। তবে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী এক লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে না প্রশাসনিক বিভাগকে।

Advertisement

২০০৭ সালে তৎকালীন রেলওয়ে ম্যাজিস্ট্রেট (শিয়ালদহ) মিন্টু মল্লিক ট্রেন সময়মতো না-চলার অভিযোগে চালক ও গার্ডকে তলব করে রিপোর্ট চান। তার বিরুদ্ধে চালক ইউনিয়নের এক নেতা দলবল জুটিয়ে ওই বিচারকের এজলাসে হাঙ্গামা করেন এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেন। সেই ঘটনায় হাইকোর্টের প্রশাসনিক বিভাগ প্রথমে মিন্টুবাবুকে সাসপেন্ড করে এবং ২০১৩ সালে তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরের নির্দেশ দেয়।

প্রশাসনিক বিভাগের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের এজলাসে মামলা করেন মিন্টুবাবু। সওয়াল করেন নিজেই। বিচারপতি সমাদ্দার প্রশাসনিক বিভাগের নির্দেশ বহাল রাখেন। তার পরে হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে যান মিন্টুবাবু

Advertisement

ডিভিশন বেঞ্চ জুলাইয়ে হাইকোর্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়, মিন্টুবাবুকে শুধু পুনর্বহাল করলে চলবে না। বকেয়া পাওনাগণ্ডার ৭৫% মিটিয়ে তাঁকে প্রোমোশনও দিতে হবে। তাঁর চাকরিতে যাতে ছেদ না-পড়ে, সেটাও নিশ্চিত করতে বলে ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে প্রশাসনিক বিভাগের এক লক্ষ টাকা জরিমানা করে ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ওই বিচারক জরিমানার টাকা পাবেন। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসনিক বিভাগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement