নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ। — ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিট সংক্রান্ত কিছু ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। সিবিআই-কে পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবার শুনানির সময় চার্জশিট সংক্রান্ত ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য সিবিআই এক মাস সময় চাইল। আর তার জেরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ভর্ৎসনা করলেন বিচারক চট্টোপাধ্যায়।
বিচারক শুক্রবার বলেন, ‘‘এত দিন সময় দেওয়া যাবে না। আজই দেওয়ার কথা ছিল। আপনারা অত্যন্ত ক্যাজুয়াল।’’ শেষ পর্যন্ত সিবিআইকে আরও ১৪ দিন সময় দেওয়ার কথা বলেন বিচারক। প্রসঙ্গত, গত মাসে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার প্রথম চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। তাতে নাম ছিল অভিযুক্ত কুন্তলের। এর আগে এই মামলায় চার্জশিট দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাদের হাতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন কুন্তল।
কুন্তলের পাশাপাশি ‘এজেন্ট’ নীলাদ্রি ঘোষ, তাপস মণ্ডলের নামও রয়েছে সিবিআইয়ের চার্জশিটে। সিবিআই দাবি করেছে, ২০১৬ সাল নাগাদ তাপসের সঙ্গে আলাপ কুন্তলের। প্রায় ২০০ জনের কাছাকাছি প্রার্থীর থেকে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। নীলাদ্রির প্রার্থী ছিলেন দু’জন। সিবিআই সূত্রে খবর, কুন্তল, নীলাদ্রি, তাপস— এই তিন জন ১০ কোটির বেশি লেনদেন করেছেন। তাঁদের পাঠানো সুপারিশ থেকে বেশ কয়েক জন চাকরিও পেয়েছিলেন বলে দাবি সিবিআইয়ের।
গত ২১ জানুয়ারি ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন যুবনেতা কুন্তল। তার আগের দিন, অর্থাৎ ২০ জানুয়ারি নিউ টাউনে সিটি সেন্টার ২-এর কাছে কুন্তলের দু’টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকেরা। ওই দিন হুগলিতে তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও চলে তল্লাশি। শান্তনুকেও এর পর ইডির হাতে গ্রেফতার হতে হয়। পরে কুন্তলকে হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই।