ধামসা বাজাচ্ছেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ উমা সরেন। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
‘অরণ্য-পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে জঙ্গলমহলে নির্ভয়ে বেড়াতে আসুন। এখানে নিরাপত্তা জনিত কোনও সমস্যা নেই’। বিশ্ব পর্যটন দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে পর্যটকদের এমনই আহ্বান জানালেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা।
মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম শহরের রবীন্দ্রপার্কে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং পর্যটন দফতর ও তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের সহযোগিতায় সাড়ম্বরে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালন করা হল। ধমসা বাজিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ উমা সরেন। সাংসদ উমাদেবীর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে জঙ্গলমহলে সার্বিক পর্যটন পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে। পর্যটকরা শান্তির জঙ্গলমহলে বেড়াতে আসুন।” ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বজিত মাহাতো ও মহকুমাশাসক নকুলচন্দ্র মাহাতো-রা বলেন, “পর্যটকরা নির্ভয়ে আসুন। এখানে নিরাপত্তার কোনও অভাব নেই।”
মহকুমাশাসক জানান, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিদেশি পর্যটকরাও এখন ঝাড়গ্রাম সম্পর্কে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এটা খুব সদর্থক দিক। ঝাড়গ্রামের পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব, ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী রেখা সরেন, লোকসংস্কৃতি গবেষক সুব্রত মুখোপাধ্যায়-রা বলেন, “অশান্তি অতীত। গত কয়েক বছর ধরে পর্যটকরা আসছেন। আরও পর্যটক এলে স্থানীয় অর্থনীতির বিকাশ ঘটবে।” সিএমওএইচ (ঝাড়গ্রাম) অশ্বিনী মাঝি জানালেন, ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়মিত পরিষেবা মিলছে। বেড়াতে এসে অসুস্থ হলে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই।
অনুষ্ঠানে ‘শরতের আবহে পর্যটক রবীন্দ্রনাথ’ শীর্ষক একটি স্মারক বক্তৃতা দেন দেবলীনা দাশগুপ্ত পাল, সুশীল বর্মন, বৈশাখী কুণ্ডু, লোকসংস্কৃতি গবেষক সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ছিল ছোটদের বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। ঝাড়গ্রাম মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক আজিজুর রহমান বলেন, “এবার আসন্ন শীতের মরসুমে ঝাড়গ্রামে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক টানার লক্ষ্যে প্রশাসনিকস্তরে সব রকম চেষ্টা হচ্ছে।”
মন্দারমণি সৈকতে বিচ ম্যারাথন দৌড়ের মাধ্যমে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পর্যটন উৎসবের সূচনা করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল। রাজ্যের পর্যটন দফতর ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মঙ্গলবার বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে দিঘা, মন্দারমণি ও তাজপুর সৈকত জুড়ে পর্যটন উৎসব পালন করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিঘার বিশ্ব বাংলা উদ্যানে মূল পর্যটন উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের পর্যটন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গোলাম রব্বানি। দাদনপাত্রবাড় থেকে মন্দারমণি মোহনা পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় একশোর বেশি প্রতিযোগী যোগ দেন।